বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে বন্ধ ডিজেলচালিত বাস, চলছে গ্যাসেরগুলো

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ১০:৫১

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই, তবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ডিজেলচালিত বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। কারণ নতুন দামে তেল নিয়ে গাড়ি চালালে ভাড়া বেশি নিতে হবে।’

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারি ঘোষণার পর ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে চট্টগ্রামে বাস বন্ধের কোনো ঘোষণা দেননি পরিবহন মালিকরা। এরপরও নগরীতে শনিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে ডিজেলচালিত বাস, তবে সড়কে চলতে দেখা যায় গ্যাসচালিত বাসগুলো।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাজাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এভাবে হুট করে আবারও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। যারা মনে করছে এই দামে তেল কিনে পোষাতে পারবে না, তারা গাড়ি চালাচ্ছে না, তবে চট্টগ্রামে গাড়ি বন্ধের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা নেই।

‘সকাল থেকে কেউ কেউ আন্তজেলা পরিবহনগুলো বন্ধ রেখেছে, কেউ কেউ টিকিট বিক্রি করছে।’

তেলের দাম বৃদ্ধির পরও আপাতত আগের ভাড়ায় আন্তজেলা বাস চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন আন্তজেলা বাস-মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত আগের ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছি। সকাল থেকে ইউনিক, সৌদিয়াসহ অনেকগুলো বাস চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে, তবে যে পরিস্থিতি দেখতেছি, আমরা ১২টায় সবাইকে নিয়ে বসব। আর সরকারের সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’

সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরে কম বাস চলাচল করতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গাড়ি সারা দিন চলে, রাতে তেল নেয়, কিন্তু মধ্যরাতে তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর পাম্পে ভিড়ের কারণে চালকরা তেল নিতে পারেনি। তাই তেলের গাড়িগুলো চলতে পারতেছে না, তবে গ্যাসের গাড়িগুলো চলতেছে, চলবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই, তবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ডিজেলচালিত বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। কারণ নতুন দামে তেল নিয়ে গাড়ি চালালে ভাড়া বেশি নিতে হবে।

‘যাত্রীদের সঙ্গে শ্রমিকদের কথাকাটাকাটি হবে, সমস্যার সৃষ্টি হবে। যারা পারছে চালাচ্ছে, যারা পারছে না বন্ধ রেখেছে।’

গাড়ি বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গাড়ি বন্ধের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। কেউ যদি বন্ধের অপপ্রয়াস চালায়, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আমরা সহযোগিতা করব।’

এদিকে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, অক্সিজেন, নিউ মার্কেটসহ কিছু কিছু এলাকায় গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়, তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। অন্যদিকে হালিশহর, অলংকার, নিমতলা বিশ্বরোড, কাস্টমস, আগ্রাবাদ এলাকায় গণপরিবহন দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে যাত্রীদের বিক্ষোভ-অবরোধের খবরও পাওয়া গেছে।

নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ রাকিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। সড়কে গাড়ি নেই। বায়েজিদে অফিসে পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না।’

নগরীর অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সকালে মার্কেট যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। সংখ্যায় কম হলেও কিছু গাড়ি চলাচল করছে। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর গাড়ি পেয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর