হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর আলোচনায় বসছে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সেখান থেকে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
শনিবার বেলা ১১টায় সোনাডাঙ্গা আন্তজেলা বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির অফিসে এ অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটির যুগ্ম আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন সোনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ায়নি। এত দাম দিয়ে জ্বালানি কিনে একই ভাড়ায় গাড়ি চালানো সম্ভব না।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে হবে ১১৪ টাকায়।
অন্যদিকে অকটেনের দাম লিটারে বাড়ানো হয় ৪৬ টাকা। এখন প্রতি লিটার অকটেন কিনতে ১৩৫ টাকা গুনতে হবে। এর বাইরে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বাড়ানো হয় পেট্রলের দাম। এখন থেকে জ্বালানিটির প্রতি লিটার ১৩০ টাকা।
শতকরা হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের দাম বৃদ্ধি করা হয় ৫১ শতাংশ।
জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম কার্যকর হয় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে।
সোনা বলেন, ‘এখন যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে ঝগড়া বেঁধে যাবে। আর গাড়ি চালিয়ে যে টাকা আসবে, তা সব পাম্পে চলে যাবে। গাড়ির চালক, হেলপার ও শ্রমিকদের বেতন দেয়া যাবে না।
‘সরকারের উচিত ছিল, আগে পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে তেলের দাম বাড়ানো। হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ালে আমাদের বিপদে পড়তে হয়।’
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু গাড়ি চালানো সম্ভব না। তাই আমরা আলোচনায় বসব। সেখান থেকে হয়তো গাড়ি চলাচল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।’