বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্বল ১০ ব্যাংককে সবল করার উদ্যোগ

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২২ ১৮:০৭

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘কোনো ব্যাংক বন্ধ হোক সেটা আমরা চাই না। এ জন্য র‍্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০টি ব্যাংককে আলাদা করেছি। আমরা চাই তারা দুর্বল থেকে সবল হোক, ব্যবসা করুক।’

র‍্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০ দুর্বল ব্যাংককে ‘সবল করতে’ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘কোনো ব্যাংক বন্ধ হোক সেটা আমরা চাই না। এ জন্য র‍্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করে ১০টি ব্যাংককে আলাদা করেছি। আমরা চাই তারা দুর্বল থেকে সবল হোক, ব্যবসা করুক।

‘খেলাপি ঋণ বেশি, মূলধন ঘাটতি, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্বল ব্যাংকগুলোর নাম বলতে চাই না। তবে পত্রপত্রিকায় ইতোমধ্যে তাদের নাম এসেছে। আমাদের লক্ষ্য, ব্যাংকগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা।

‘ব্যাংকের সুশাসনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল। দুর্বল ১০টি ব্যাংকের মধ্যে প্রথমটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের কাজে পর্ষদ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এখানে চাপ বলে কিছু নেই। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করছে কি না সেটাই প্রধান।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনসংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি হয়েছে। এ সার্কুলারের বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে, যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে চারটি চলক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিংয়ের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে।

দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ আলোচনা শুরু করছে। বিশেষ এ উদ্যোগে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি বিজনেস প্ল্যান দেবে, যার ক্রমঅগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর