পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ঘোষণা দিয়ে নিজের কোম্পানির শেয়ার কেনার আহ্বান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। এ জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা এবং ছাড় দেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিএসইসি ভবনে বিএপিএলসির নেতাদের সঙ্গে বিএসইসির এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কমিশনের একটি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে বিএসইসি দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছে। এতে দুই দিনে বাজারে সূচক বেড়েছে ১৮৩ পয়েন্ট। পাশাপাশি যে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছিল, সেটি ছাড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন।
বিএসইসি চাইছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়িয়ে বাজারে লেনদেন আরও বাড়াতে। পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেয়ার মানসে এই বৈঠক হয়।
বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, টানা দরপতনে অনেক শেয়ার অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়া যাবে।
বিএপিএলসি নেতাদের দুই উপায়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দেয়া হয় বৈঠকে। ১. কোম্পানিগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অন্য কোম্পানির শেয়ার কেনা, ২. উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ঘোষণা দিয়ে নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনা।
ঘোষণা দিয়ে কেনার ক্ষেত্রে যদি আসন্ন বোর্ডসভাকে কেন্দ্র করে আইনে কোনো জটিলতা তৈরি হয়, বিএসইসি সেটি বিবেচনা করবে বলেও জানানো হয়। এ জন্য কেনার আগে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামার্শ দেয়া হয়েছে।
বিএসইসি বলেছে, কোম্পানিগুলো ও উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা যদি বিনিয়োগ করেন, তাহলে নিজেরা যেমন লাভবান হবেন, একইভাবে বাজারকে সাপোর্ট দেয়া হবে। এতে করে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডাররাও উপকৃত হবেন।
বৈঠকে বিএপিএলসির সভাপতি ও এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলাসহ অন্য নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে আজ বিএপিএলসি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়। এতে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।’