বিভিন্ন ধরনের গুজব, রটনা, মিথ্যা ও অসত্য তথ্যের কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এ জন্য সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রয়োজন বলে তুলে ধরেন তিনি। সঠিক বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করা হবে বলেও জানান বিএসইসি কমিশনার।
ময়মনসিংহের টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে শনিবার বিএসইসি এবং বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের বিনিয়োগ শিক্ষা মেলার সমাপনী দিনে এ কথা বলেন শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষার তিনটি ডাইমেনশন রয়েছে। জ্ঞান অর্জন, জ্ঞানভিত্তিক আচরণ ও জ্ঞানের মনোভাব। এই তিন ডাইমেনশনকে ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
‘তবে আমরা প্রায়ই দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন ধরনের গুজব, রটনা, মিথ্যা ও অসত্য তথ্যের কারণে আমরা বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এটি বিনিয়োগের জন্য কল্যাণকর নয়।’
সে জন্য বিনিয়োগ শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই কমিশনার।
শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষার এ কার্যক্রম শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে নয়, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। আমাদের দেশে যে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’
বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘২০১৭ সালে ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটার উদ্বোধন করেছেন। সে যাত্রাটির কর্তব্য অংশটি আজ আমরা সম্পাদন করতে পারছি। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্যান্য বিভাগের এ ধরনের কার্যক্রম আমরা শেষ করেছিলাম। তবে করোনার কারণে ময়মনসিংহ বিভাগে এটা করার সম্ভব হয়নি, যা এখন করা গেল।’
বিএসইসির কমিশনার বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের পথচলার যে চিন্তাভাবনাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিনিয়োগকারী আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিএসইসি এবং তার দুটি অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) ও ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসি ডিপার্টমেন্ট আপনাদের সমৃদ্ধভাবে যেকোনো জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সদা প্রস্তুত রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ, রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডিবিএর সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, ডিবিএ সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও।