বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমদানি সীমিত, বিদেশি ফলের আকাল

  •    
  • ৩০ জুলাই, ২০২২ ১২:৩৬

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরেই ফলের বাজারে দেশির রাজত্ব। এর কারণ কেবল গ্রীষ্মের দেশি ফল নয়, ডলারের খরচ কমাতে বাংলাদেশের নীতিগত সিদ্ধান্তও। কম প্রয়োজনীয় ও বিলাসদ্রব্যের আমদানি সীমিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে ফলের আমদানি কমেছে। আর সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম।

গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম-কাঁঠালের দিন ফুরাতে থাকার মধ্যেই বাজারে আরেক রসালো ফল আনারসের ছড়াছড়ি। সেই সঙ্গে পেয়ারা, আমড়া, কলার জোগানই এখন ফলের দোকানগুলোকে ব্যস্ত রেখেছে।অন্যদিকে আপেল, আঙুর, মাল্টা, নাশপাতির মতো বিদেশি ফলগুলোর দেখা মিলছে কমই। যেসব দোকানে আছে, সেগুলোতে দাম অনেকটাই বেশি।

দেশের বাজারে নানা ধরনের আপেল সারা বছর পাওয়া গেলেও এখন এক-দুই জাতেরগুলোই চোখে পড়ছে। বছরের এই সময়ে যে আপেল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই ফলের দাম এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

গ্রীষ্মে মাল্টার দাম সাধারণত কিছুটা বেশি থাকে, কিন্তু তাই বলে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি কখনও দেশবাসী দেখেছে-এমনটা হয়নি।

একই অবস্থা নাশপাতি, আঙুরের ক্ষেত্রে। কারওয়ান বাজারে একটি ফলের দোকানে সবুজ রঙের ‘কম দামি’ আঙুরের দামই সাড়ে ৩০০ টাকা দাম চাইলেন বিক্রেতা।তুলনামূলক দামি কালো আঙুরের দেখা মিলল একটিমাত্র দোকানে। লাল আঙুর আছে হাতে গোনা এক-দুটিতে।ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক মাস ধরেই ফলের বাজারে দেশির রাজত্ব। এর কারণ কেবল গ্রীষ্মের দেশি ফল নয়, ডলারের খরচ কমাতে বাংলাদেশের নীতিগত সিদ্ধান্তও।

কম প্রয়োজনীয় ও বিলাসদ্রব্যের আমদানি সীমিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে ফলের আমদানি কমেছে। আর সরবরাহ কমায় বেড়েছে দাম। তবে ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে দেশি ফল পাচ্ছেন বলে এ নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ আছে-এমনও নয়। বিত্তবানরাই বিদেশি ফল কিনছেন প্রধানত।

ফল আমদানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর স্বাভাবিক শুল্কের পাশাপাশি আরোপ করেছে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। এর ফলে আমদানি করা ফলের দাম পড়ছে বেশি। আর নিয়মিত বেড়ে চলছে।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।সবুজ রংয়ের আপেলের দাম আরও বেশি, কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ২২০ টাকা।খেজুর বিক্রি হতে দেখা গেল ৭০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে।ফল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে মাল নাই। এর লাইগ্যা দাম বাড়ছে।’

এই বিক্রেতা জানান, বেশি দামে বিক্রি করলেও তাদের আয় কমে গেছে। কারণ, বাড়তি দামের এই ফল বিক্রি কমে গেছে অর্ধেকের বেশি।

আরেক ফল বিক্রেতা মোতালেব মিয়া বলেন, ‘আপেল, মাল্টা, খেজুর বিদেশ থাইক্যা আনতে অয়। এহন আমদানি কম। হের লাইগ্যা দামও বেশি।’

বাংলাদেশে আপেল সাধারণত আমদানি হয় চীন, ভুটান ও সাউথ আফ্রিকা থেকে। মাল্টা ও কমলা আমদানি করা হয় ভারত ও চীন থেকে।বেশির ভাগ আঙুর আসে ভারত থেকে। এ ছাড়া খেজুর আমদানি করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।কারওয়ান বাজারে ফলের দোকানে দেখা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরেফিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে ১৫০ টাকায় পাওয়া যেত তা কিনতে এখন ২৫০-৩০০ টাকা লাগে।’

সরকারি কর্মকর্তা দাউদ হাসান বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা ফলের দাম খুব বেশি। সবার পক্ষে আপেল-মাল্টা কিনে খাওয়া সম্ভব না।’দেশি ফলের মধ্যে আমের মৌসুম শেষ বলে দামটাও এখন বেশি। এই মুহূর্তে কিছু কয়েক জাতের ফজলি, বারি ফোর ও আম্রপালির দেখা মেলে। এই ফলগুলোর দাম কেজিতে ১৬০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা।বেশ বড় আকারের আনারস কারওয়ান বাজারে ৩০ টাকা করেও বিক্রি হয়। পাড়া মহল্লায় দামটা এর চেয়ে কিছুটা বেশি।

পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে।দেশি ফলের মধ্যে পাকা পেঁপের জোগান কিছুটা কম। দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।লটকন কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ২০০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে। এর মৌসুমও শেষের পথে।

কলার মধ্যে চম্পা কলা আকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা ডজন। সাগর কলা ১০০ টাকার আশপাশে।

এ বিভাগের আরো খবর