ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জেটি সংকটে লেগে থাকছে জাহাজের জট। জাহাজ ও কার্গো থেকে মালামাল ওঠা-নামায় দেখা দিয়েছে ধীরগতি।
নৌবন্দরে আরও দুটি জেটি স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে জাহাজ, কার্গো ও বাল্কহেড থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো সহজ হবে বলে জানান তারা।
নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে আন্তর্জাতিক ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ঘোষণা করে। এর পর থেকে জাহাজের মাধ্যমে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেয়া শুরু হয়।
তখন আশুগঞ্জের এই আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে দুটি জেটি স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে একটি জেটি স্টিলের, অন্যটি পাকা। বর্তমানে পণ্যের চাহিদা এবং পণ্য আনা-নেয়ায় নৌযান বেড়েছে। নৌবন্দরের দুটি জেটিতে পণ্য ওঠা-নামা করাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, নৌবন্দর গড়ে ওঠার পর প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫টি নৌযান ভিড়ত। এসব নৌযানে সার, সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর ঘোষণার পর গত কয়েক বছরে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশি-বিদেশি ৬০-৬৫টি কার্গো ও বাল্কহেড এই বন্দরে ভিড়ছে।
বন্দরের দুটি জেটি এখন আর পণ্য ওঠা-নামা সামলাতে পারছে না। এ কারণে তৈরি হচ্ছে জট। মালামাল ওঠা-নামায় ধীরগতিসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেরিঘাট রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম নাসির জানান, আশুগঞ্জের এই আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টন রড লোড-আনলোড হয়। বন্দরের দুটি জেটিতে জাহাজের মালামাল ওঠা-নামায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এখানে আরও দুটি জেটি স্থাপন করলে জাহাজের জট কমত।
আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুমেল মুন্সি বলেন, ‘বন্দরে নৌযান বেড়েছে। জেটি সেই দুটি রয়ে গেল। এতে ব্যবসায়ীরা মালামাল ওঠা-নামা করাতে হিমমিশ খাচ্ছেন। এই বন্দরে দুর্ভোগ লাঘবে আরও জেটি স্থাপন প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ব্যবসায়ীদের জেটির দাবি সম্পর্কে অবগত আছি। নৌ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জেটি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।