বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উজবেকিস্তানে বাণিজ্য বাধা কাটাতে গঠন হচ্ছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ

  •    
  • ২৯ জুলাই, ২০২২ ১৯:০১

টিপু মুনশি বলেন, ‘ডাবল ট্যাক্সেশন পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। এ বিষয়ে উজবেকিস্তান সরকার পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করা যায়, এ সমস্যারও সমাধান হবে।’

বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ডাবল ট্যাক্সেশন পদ্ধতিসহ সব বাণিজ্যিক বাধা দূর করে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চলতি বছর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

২০২৩ সালে কমিটির প্রথম সভা উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কমিটি গঠনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’

ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুক্রবার ‘থার্ড ইন্টারগভর্মেন্টাল কমিশন মিটিং অন ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড উজবেকিস্তান’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, ‘ডাবল ট্যাক্সেশন পদ্ধতি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। এ বিষয়ে উজবেকিস্তান সরকার পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করা যায়, এ সমস্যারও সমাধান হবে।’

উজবেকিস্তান থেকে সার আমদানি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উজবেকিস্তান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। চলতি বছরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাধা দূর করার জন্য একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চলমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য ঢাকায় উজবেকিস্তানের একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় খুব কম সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।’

দুই দেশের যোগাযোগ সহজ করতে আকাশপথ চালুর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করা যায় এ বিষয়ে আমরা ভালো কিছু করতে পারব। তখন মাত্র সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে উজবেকিস্তান যাওয়া যাবে। এখন অনেক ঘুরে প্রায় ১২ ঘণ্টা জার্নি করে সেখানে যেতে হয়।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতেও উজবেকিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’

বৈঠকে সাতটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক বিষয়, টেক্সটাইল এবং কটন সেক্টর, অ্যাগ্রো ফুড অ্যান্ড ফ্রুটস সেক্টর, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর, মিউচুয়াল ট্রেড ব্যারিয়ার রিমুভ, মিউচুয়াল অ্যাট্রাকশন অফ ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এ জন্য যেসব বাণিজ্য বাধা আছে সেগুলো দূর করতে দুই দেশের সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সভায় বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সক্ষমতা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধসহ রপ্তানি পণ্য আমদানিতে উজবেকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া মেডিক্যাল পণ্য রপ্তানির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়।

প্রযুক্তি হস্তান্তর, দক্ষতা উন্নয়ন, বস্ত্র শিল্প প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রস্তাব দেয় উজবেকিস্তান। তা বাস্তবায়নে আগ্রহী দুই দেশ।

ঢাকায় উজবেকিস্তানের একটি দূতাবাস স্থাপন এবং আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়েও আগ্রহী হয়েছে দুই দেশ।

বৈঠকে উজবেক উপপ্রধানমন্ত্রী জামশেদ কাদজায়েভের নেতৃত্বে ২২ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী ইখম মাকামোভ, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক প্রথম উপমন্ত্রী লাজিজ কদরাতোভ, কৃষি উপমন্ত্রী আলিসার সুকোরোভ, পরিবহন উপমন্ত্রী জাসুরবেক ছোরিভসহ অন্যরা।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) নুসরাত জাবিন বানু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) মো. আব্দুর রহিম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর