বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামাক আইন সংশোধনীর খসড়া নিয়ে প্রশ্ন

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ২১:৫৫

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘আইনটি পুনরায় সংশোধনের জন্য যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, সেখানে কয়েকটি এনজিও ছাড়া অংশীজনদের মতামত নেয়া হয়নি। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা তৈরি হওয়ায় ত্রুটিপূর্ণ আইন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

‘তামাকজাত পণ্য থেকে প্রতি বছর সরকারের বিপুল রাজস্ব আয় হয়। দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান রয়েছে এই খাতে। কিন্তু সম্প্রতি খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে এবং অন্যান্য মতামত উপেক্ষা করে নতুন তামাক আইনের খসড়া করা হয়েছে, যা বৈধ তামাক শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইপিএবি) আয়োজনে ‘পলিসি ডায়ালগ অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট: টোব্যাকো অ্যান্ড লিংকেজ সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এক হোটেলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সাবেক অধ্যাপক হারুনুর রাশিদ।

আলোচনায় অংশ নেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি আই এম নুরুল কবির, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান রবি’র চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার ব্যারিস্টার সাহেদ আলম, ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামসহ অনেকে।

আইপিএবির প্রেসিডেন্ট শামসুল আলম মল্লিকের সভাপতিত্বে ডায়ালগ সেশনটি পরিচালনা করেন আয়োজক সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল আজিজুর রহমান।

সম্প্রতি জনমত যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তামাক খাতের জন্য প্রযোজ্য একটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বিশ্লেষণ ও মতামত উপস্থাপন করেন আলোচকরা।

পলিসি ডায়ালগে বক্তারা বলেন, ‘সরকার শুধু তামাক খাত থেকেই গত অর্থবছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আনীত প্রস্তাবগুলো যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’

এমন আইন তামাক শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বক্তারা বলেন, ‘আইনটি পুনরায় সংশোধনের জন্য যে খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে, সেখানে কয়েকটি এনজিও ছাড়া এই খাতের অংশীজনদের কোনো মতামত নেয়া হয়নি। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা তৈরি হওয়ায় ত্রুটিপূর্ণ আইন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ শুরু হলে হয়রানির শিকার হবেন অনেকে। পাশাপাশি নকল পণ্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়বে এই খাতের সঙ্গে জড়িত ৭০ লাখ মানুষ।’

সংশ্লিষ্টদের দাবি, সবশেষ যখন আইনটি সংশোধন করা হয় তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই খাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ মতামত নিয়েই তা প্রণয়ন ও পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করে। বর্তমানেও এ খাতের অংশীজনদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।

এই আইন বাস্তবায়ন হলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ব্যবসায়িক জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ সরাসরি হুমকির মুখে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ, সরকারের বিপুল রাজস্ব এবং সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। আর তা চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে সরকারের জন্য আরও কঠিন করে তুলবে।

জানা গেছে, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি ২০০৫ সালে প্রণীত হয়। সবশেষ ২০১৩ সালে আইনটিতে সংশোধনী আনা হয়। এরপর ২০১৫ সালে এই আইনের বিধি চূড়ান্ত করা হয়।

বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই আইনের অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে।

প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়ায় ধূমপান এলাকার ব্যবস্থা বিলুপ্তিকরণ, তামাক কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) নিষিদ্ধকরণ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির জন্য পৃথকভাবে লাইসেন্স গ্রহণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, সিগারেটের একক শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণসহ আরও বেশকিছু প্রস্তাব রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর