বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৩ মাস পর সূচক ৬ হাজারের নিচে

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ১৫:৪৯

লেনদেনের বিষয়ে এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মনে বসে যাওয়া আতঙ্ক কাটেনি। হাত গুটিয়ে নিয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরাও। যার কারণে পুঁজিবাজারের এমন অবস্থা। কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই অবস্থা কত দিন চলবে তা বলা মুশকিল।’

শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার আবারও ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে ৫৭ পয়েন্ট সূচক হারাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর ফলে সূচক চলতি বছরের সর্বনিম্ন তো বটেই, ১৩ মাসের বেশি সময় পর ৬ হাজারের নিচে নামল।

ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল গত বছরের ৭ জুন। ওই দিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের পুরোটা, তার আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ধসের মধ্য দিয়ে টানা ৯ কর্মদিবসে সূচক পড়ে ৩১৪ পয়েন্ট।

এর মধ্যে গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার এবং চলতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাপক ধস নামে। প্রবণতা হিসেবে তিন শর বেশি কোম্পানির দরপতন দেখা যায়।

এরপর সোম ও মঙ্গলবার কিছুটা ভালো দিন গেছে পুঁজিবাজারে। দুই কর্মদিবসে যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ পয়েন্ট যোগ হয়েছে সূচকে।

এর ফলে পতন থেকে বেরিয়ে উত্থানের যে আশা জেগেছিল বিনিয়োগকারীদের মনে, তা মিলিয়ে যায় গতকালের ধসে।

আবারও তিন শর বেশি কোম্পানির দরপতন দেখা যায়। আগের দুই কর্মদিবসে যতটুকু পয়েন্ট বেড়েছিল তার চেয়ে আরও ১৪ পয়েন্টের বেশি কমে যায়।

লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর কমেছে ৩৩৩টির। বিপরীতে দর বেড়েছে ২৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দামেই।

ব্যাপক দরপতনের সঙ্গে ক্রেতা সংকট ছিল পুঁজিবাজারে। লেনদেন কমেছে ৩৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার।

দিনভর হাতবদল হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে বৃহস্পতিবারের লেনদেনের চিত্র

লেনদেনের বিষয়ে এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মনে বসে যাওয়া আতঙ্ক কাটেনি। হাত গুটিয়ে নিয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরাও। যার কারণে পুঁজিবাজারের এমন অবস্থা। কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই অবস্থা কত দিন চলবে তা বলা মুশকিল।’

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে হা-ওয়েল টেক্সটাইলের। কোম্পানির শেয়ারদর বছরজুড়ে ওঠানামা করতে দেখা যায়।

দুই কর্মদিবস পতনের পরে আজ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দর বেড়েছে। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সায়।

২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ২০ শতাংশ বা ২ টাকা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন এর বিনিয়োগকারীরা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে গত বছর তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী ইন্স্যুরেন্সের। ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৫২ টাকা ২০ পয়সায় সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে।

দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। আগের দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয় ৪৫ টাকা ২০ পয়সায়। আজ ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।

দর পতনের শীর্ষ ১০

এই তালিকায় একটি ছাড়া সবগুলোর দরই দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। শতকরা হিসেবের কারণে কোনোটির দাম কিছুটা কম কমতে পেরেছে এই যা।

তবে লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে কোনো মূল্যসীমা না থাকায় দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের চেয়ে বেশি কমতে পেরেছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর।

কোম্পানি ২০২১ সালের বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ার দর হারায় ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।

কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা লোকসান দেয়ার পর চলতি বছর জুন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দিয়েছে।

এর পরেই দর কমেছে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের। সর্বোচ্চ সীমা অর্থাৎ ২ শতাংশ দর কমে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৫ টাকা।

সমতা লেদারের দরও ২ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ৬০ পয়সায়। এ নিয়ে বিগত ৮ কর্মদিবসের ৭ দিনই কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হলো।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইউনিক হোটেল, লিনডে বিডি, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ক্রাউন সিমেন্ট, সোনালী পেপার, বঙ্গজ এবং জুট স্পিনার্স।

সূচক কমাল যারা

সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওয়ালটন হাইটেকের কারণে। এ দিন কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমিয়েছে রবি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।

ইউনাইটেড পাওয়ারের দর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।

এ ছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি, বার্জার পেইন্টস, রেনাটা, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মার দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৯ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।

সূচকে পয়েন্ট যোগ করল যারা

সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৫৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ম্যারিকো। কোম্পানিটির দর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ দর বেড়েছে।

এনভয় টেক্সটাইলের দর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।

হা-ওয়েল টেক্সটাইল সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ২৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ডেল্টালাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।

এ বিভাগের আরো খবর