বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুর প্রভাবে যাত্রী কম আকাশপথেও

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ০৮:২৭

প্রতি বছর ঈদের সময় দেশের চারটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্য সৈয়দপুর, যশোর, কক্সবাজার ও রাজশাহী রুটে এয়ারলাইনসগুলো অতিরিক্ত ফ্লাইট ঘোষণা করে। এবার যাত্রী কম থাকায় তার প্রয়োজন হয়নি। ইতোমধ্যে যাত্রী সংকটের কারণে ১ আগস্ট থেকে বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার।

পদ্মা সেতুর প্রভাবে নৌপথে লঞ্চের পাশাপাশি আকাশপথেও যাত্রী কমে গেছে। ফাইল ছবি

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিশেষত বরিশাল ও যশোর রুটে যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম। বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর দেয়া তথ্যে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন দেশের অন্যতম বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হয় দক্ষিণাঞ্চল।

বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো বলছে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে গরম আর রোদের দাপট থাকায় এ সময়টিকে পর্যটনের জন্য অনুপযুক্ত মনে করা হয়। যেহেতু এ সময়ে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এয়ারলাইনসগুলোতে যাত্রীর চাপ‌ও কমে আসে।

তার ওপর গত এক বছরে উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েল বা এভিয়েশন ফুয়েলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এর প্রভাব পড়েছে ফ্লাইটের ভাড়াতেও। অতিরিক্ত খরচের কারণে অনেক মধ্যবিত্ত যারা আগে সময় বাঁচাতে আকাশপথ বেছে নিতেন তারাও অন্য মাধ্যমগুলোতে ফিরে যাচ্ছেন। এতে আকাশপথে যাত্রী সংখ্যায় প্রতিবছর যে প্রবৃদ্ধি হতো তা হোঁচট খেয়েছে। গত ঈদুল আজহায় এর প্রভাব দেখা গেছে।

প্রতি বছর ঈদের সময় দেশের চারটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্য সৈয়দপুর, যশোর, কক্সবাজার ও রাজশাহী রুটে এয়ারলাইনসগুলো অতিরিক্ত ফ্লাইট ঘোষণা করে। এবার যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় তার প্রয়োজন হয়নি। একই সঙ্গে দেশে বন্যা পরিস্থিতি ও করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিও যাত্রী কমার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে যাত্রী সংকটের কারণে ১ আগস্ট থেকে বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার।

দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন ডাল সিজন যাচ্ছে। তার ওপর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতু বড় ধরনের একটি প্রভাব ফেলেছে।

‘লং টার্মে হয়তো সড়কপথ ও আকাশপথ কেউ কারও প্রতিযোগী হতে পারে না। তবে শর্ট টার্মে অনেকেরই পদ্মা সেতু হয়ে ভ্রমণের আগ্রহ রয়েছে। তার একটা প্রভাব আমরা এয়ারলাইনসের ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি। এ কারণে বরিশাল ও যশোর রুটে অপারেশন কস্ট বেশি থাকার পরও আমরা ভাড়া বাড়াতে পারছি না।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই দুই রুটে ফ্লাইট এখনও কমাইনি। তবে যাত্রীর চাপ কমে যাওয়ায় ঈদের সময় আমরা কোনো অতিরিক্ত ফ্লাইটও অপারেট করিনি।’

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নৌপথে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। ভাড়া কমিয়েও লঞ্চে যাত্রী মিলছে না। ইতোমধ্যে চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী গ্রিন লাইনের ওয়াটার ওয়েজ সার্ভিস। লাগাতার লোকসান সামাল দিতে না পারায় সার্ভিসটি মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে আকাশপথে কিছুটা প্রভাব পড়ার বিষয়টি অনুমতিই ছিল। বরিশাল ও যশোরের ফ্লাইটে যাত্রীর চাপটা আগের চেয়ে কমে গেছে। মানুষ হয়তো এখন সড়কপথটাই বেছে নেবে। আগে যেমন আকাশপথকে গুরুত্ব দিতো। এখন ভাববে- এভাবে যদি কিছু পয়সা বাঁচে! বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা এভাবেই চিন্তা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর