বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজস্ব ফাঁকিবাজদের কঠোর বার্তা এনবিআরের

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২২ ২১:১৬

কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারদের নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের বৈঠকে রাজস্ব আয় বাড়াতে বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অর্থবছরের শুরুতেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন, নিয়মিত তদারকি করা, রাজস্ব আহরণের সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, মামলা-মোকাদ্দমা যথাসম্ভব পরিহার করে সমঝোতার ভিত্তিতে কর আদায়, ইচ্ছাকৃত রাজস্ব ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, শুল্ক ফাঁকি বন্ধে পণ্যের শ্রেণীকৃত বা এইচএস কোড ও ভ্যালুয়েশন পরীক্ষা করা।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অম্ভ্যন্তরীণ সম্পদ তথা রাজস্ব আহরণ জোরদার করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এ জন্য অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সব কমিশনারকে তৎপর হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতির কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং চলতি অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে দিকনির্দেশনা দিতে এ বৈঠকের আয়োজন করে এনবিআর।

সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ সময় রাজস্ব বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনাররা অংশ নেন। শিগগিরই আয়কর বিভাগের সঙ্গেও বৈঠক করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

রাজস্ব আয় বাড়াতে বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : অর্থবছরের শুরুতেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন, নিয়মিত তদারকি, রাজস্ব আহরণের সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, মামলা-মোকাদ্দমা যথাসম্ভব পরিহার করে সমঝোতার ভিত্তিতে কর আদায়, ইচ্ছাকৃত রাজস্ব ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, শুল্ক ফাঁকি বন্ধে পণ্যের শ্রেণীকৃত বা এইচএস কোড ও ভ্যালুয়েশন (মূল্য) পরীক্ষা করা।

এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাপ প্রয়োগ না করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ কর আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তবে যারা ইচ্ছা করে রাজস্ব ফাঁকি দেবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কমিশনারদের নির্দেশ দেন তিনি। আর যারা পরিস্থিতির শিকার তাদের ওপর জুলুম না করে নমনীয় হয়ে কর আদায় করতে বলা হয়।

বৈঠকে গত অর্থবছরের (২০২১-২২) রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চূড়ান্ত হিসাবে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। অবশ্য এই আদায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কম।

আদায়ের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে কাস্টমস বা আমদানি শুল্কে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৮৯ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

অবশ্য এ খাতে বেশি প্রবৃদ্ধি হওয়ার যৌক্তিক কারণও আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আদায় বেড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা, এইচএস কোড জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণা বন্ধে আমদানিকারকদের পণ্যের চালান যথাযথভাবে শুল্কায়নের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে করে শুল্ক ফাঁকি কমবে এবং আদায় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’

বর্তমানে এনবিআরের মাধ্যমে সংগৃহীত মোট রাজস্বের ২৯ শতাংশ আসে আমদানি বা বহিঃশুল্ক খাত থেকে। সবচেয়ে বেশি আসে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের অন্যতম উৎস মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে। এটি মোট রাজস্বের ৩৭ শতাংশ। বাকিটা আসে আয়কর থেকে।

এনবিআর চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, বছরের শুরুতে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হলে চলামান পরিস্থিতির মধ্যেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।

এনবিআরের এক সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, অর্থনীতিতে রাজস্ব আহরণের নতুন নতুন খাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করে করের আওতায় আনতে পারলে আদায় বাড়বে। বৈঠকে ওই সব খাত নিয়ে কাজ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর