ভোজ্যতেলের পুষ্টিগুণ নিশ্চিতে ফর্টিফিকেশন ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে উন্নত পর্যবেক্ষণে পুষ্টিগুণ নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি সহজ হবে। এটি কার্যকর হলে ভোক্তারাও উপকৃত হবেন।
‘ডিজিটাইজেশন অফ ফর্টিফিকেশন অফ এডিবল অয়েল ফর ইমপ্রুভড মনিটরিং, কোয়ালিটি কনট্রোল অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক ইনস্পেকশন মিটিংয়ে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন’ ও ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের’ সহায়তায় মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে এই মিটিংয়ের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার এবং ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
সভায় বক্তারা বলেন, ফর্টিফিকেশন ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি চালু হলে ভোজ্যতেলে কোন কোন উপাদান কী মাত্রায় মেশানো হয়েছে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানতে পারবে বিএসটিআই ও শিল্প মন্ত্রণালয়। তাতে ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে। খোলা তেলে নানা ধরনের ভেজাল মেশানো হলেও তা ধরার সুযোগ থাকে না। তাই খোলা অবস্থায় ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সভায় জানানো হয়, ফর্টিফিকেশনের মান ও ফর্টিফাইড খাবার ভোক্তাদের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছায় কী-না তা পর্যবেক্ষণ করতে এই প্রকল্প কাস্টমাইজড ডিজিটাল সিস্টেম চালু করবে। পাইলট প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত তেল উৎপাদনকারীদেরকে ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের একটি দল কো-ডিজাইন এবং নতুন ডিজিটাল মান নিশ্চিতকরণ বা মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইনস্টল করতে সহায়তা করবে। তা উৎপাদনকারীদের সঠিক মান নিশ্চিতকরণ এবং ইনসাইট প্রদানের মাধ্যমে লাভজনকভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ফুড ফর্টিফিকেশন বা খাবার সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপুষ্টির অভাবে মানুষের যে সমস্যা হয় তা প্রতিকার ও প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। খাবার সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে সবার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা যায়।
‘খাবার সমৃদ্ধকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে শিল্প, বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুষ্টি নিরাপত্তায় বৈশ্বিক মান অর্জনের পথে রয়েছে।’
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রুচিকা চুঘ সচদেভা বলেন, “এটা প্রশংসনীয় যে বাংলাদেশের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প রয়েছে। ফর্টিফিকেশন এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে লবণ ও তেলের ফরটিফিকেশন বাধ্যতামূলক করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাই।”
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগস্টের প্রথম দিন থেকে বাজারে খোলা সয়াবিন পাওয়া যাবে না। বিষয়টি আগেই কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে। নতুন দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে কিনা এবং আরও কীসব করা হচ্ছে সে বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর তদারকি করছে।’