বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বর্ণের দাম বাড়ল ভরিতে ১৩৪১ টাকা

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৩

এবার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে নয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।

স্বর্ণের দাম বাড়ল। দশ দিনের ব্যবধানে সবচেয়ে ভালো মানের মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা করা হয়েছে।

অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও প্রায় একই হারে বাড়ানো হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন দর কার্য‌কর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় টানা তিন দফা দাম কমানোর পর মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো।

তবে এবার আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে নয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।

সবশেষ ১৭ জুলাই সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছিল। তার আগে ৬ জুলাই একই পরিমাণ কমানো হয়েছিল।

বুধবার পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। তার চার দিন আগে ৪ মার্চ বাড়ানো হয়েছিল ভরিতে ৩ হাজার ২৬৫ টাকা।

এরপর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করায় ১৫ মার্চ দেশের বাজারে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ২১ মার্চ কমানো হয় ভরিতে আরও ১ হাজার ৫০ টাকা।

কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় ১১ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ২৫ এপ্রিল প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। ১০ মে একই পরিমাণ কমানো হয়েছিল।

দুই দফায় ভরিতে ২ হাজার ৩৩২ টাকা কমানোর পর ১৭ মে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়।

মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ২১ মে সেই স্বর্ণের দাম এক ধাক্কায় ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বাড়িয়ে দেয় বাজুস। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে স্বর্ণের দাম উঠে যায় ৮২ হাজার ৪৬৬ টাকায়।

২৬ মে সেই স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৯১৬ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। প্রায় দেড় মাস পর ৬ জুলাই আরও ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।

দশ দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যায় আরও ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হলো।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্তিতি বিবেচনায় নিয়ে মঙ্গলবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘বুধবার থেকে এই নতুন দর কার্য‌কর হবে।’

বিশ্ববাজারে বুধবার রাত ১০টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৭১৭ ডলার ৮৬ সেন্ট। এর আগে ১৭ জুলাই রাতে যখন স্বর্ণের দাম কমানো হয়, তখন প্রতি আউন্সের দাম ছিল ১ হাজার ৭০৭ ডলার ২৭ সেন্ট।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়তে বাড়তে ২ হাজার ৬০ ডলারে উঠেছিল।

১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি।

বুধবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কমেছে ১ হাজার ৩৪১ টাকা।

২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৪৩ টাকা বেড়ে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে। এই দশ দিন ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই মানের স্বর্ণ।

১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৪ হাজার ২৬৯ টাকা। রোববার পর্যন্ত ৬৩ হাজার ২১৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম বাড়েনি। আগের মতোই প্রতি ভরি ৫২ হাজার ৭২১ টাকায় বিক্রি হবে।

রুপার দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হবে এই ধাতু।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত বাজুসের বেঁধে দেয়া দামে স্বর্ণ বিক্রি করতে অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বর্ণালংকার বিক্রির সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতি গ্রামে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা মজুরি নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর