এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে বাংলাদেশের। আর অন্তর্বর্তীকালীন সময়টাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশ এখন যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তা উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে অব্যাহত রাখতে হলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।
‘ডব্লিউটিও মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স ইমপ্লিকেশনস ফর গ্রাজুয়েশন এলডিসিসি’ শীর্ষক সেমিনারে সরকারি নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এমন অভিমত দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রকল্প ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনে মঙ্গলবার এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রধান আলোচনা ও সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করতে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুবিধা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের কীভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সবশেষ সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি।
‘আলোচনার পথ খোলা রয়েছে এবং উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
সচিব শরিফা খান বলেন, ‘আগামীতে সার্বিক বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সংস্কারের প্রয়োজন হবে এবং সেই সংস্কার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে।’
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতার উৎকর্ষ সাধন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠকের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছিল তা প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পরবর্তী জেনারেল কাউন্সিলের প্রথম সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম ও এসএসজিপি প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেছার আহমেদ।