বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা বলেছেন, আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে অভূর্তপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে উন্নয়নের একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দেশটির যে উন্নয়ন হয়েছে, তা ‘চোখে দেখার মতো’ বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ে সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন জাইকার প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ- এ কথা উল্লেখ করে সফররত জাইকার প্রেসিডেন্ট জানান, ২০১৪ সালে তিনি যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন যে উন্নয়ন দেখেছেন, এবার এসে উপলব্ধি করলেন ভিন্ন চিত্র। এবারের সফরের বাংলাদেশ তাকে অভিভূত করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
প্রতিবেশি অনেক দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ মুহূর্তে জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সামনের সারিতে আছে বলে জানান ড. আকিহিকো।
অর্থমন্ত্রী জাইকা প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। তারপর থেকে জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী এবং সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু।’
বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য জাপান সরকার এবং বিশেষ করে জাইকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্প্রতি জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের জাপান সফর এটিকে আরও বেগবান করেছে। পাশাপাশি ২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল আততায়ীর গুলিতে শিনজো আবের মৃত্যুতে সমবেদনা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দিনে দিনে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। আমার বিশ্বাস, জাইকা ভবিষ্যতের বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় বাজেট সহায়তাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন বাড়াবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়াসহ জাইকা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।