পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ফসেটস উৎপাদন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার কোম্পানি এ তথ্য জানিয়েছে।
কোম্পানিটি নতুন ব্যবসায় ৯৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। নতুন প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিদিন এক হাজার ৫০০টি ফসেটস উৎপাদন করতে পারবে।
এদিকে নতুন বিনিয়োগের ঘোষণার সঙ্গে দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিরামিকস প্রতিষ্ঠানটি।
আলোচিত সময়ে (এপ্রিল-জুন’২২) কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫২ পয়সা। আর দুই প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২২) সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১ টাকা ২ পয়সা।
চলতি বছরের ছয় মাস শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ পয়সা, যেটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫১ পয়সা।
এ ছাড়া আগের বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরে এসে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৬ টাকা ৪৩ পয়সা, সেটা বেড়ে চলতি বছরে দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২৮ পয়সায়।
আলোচিত সময়ে বিক্রি বাড়লেও বিভিন্ন আমদানি ব্যয় পরিশোধের কারণে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো কমেছে বলে জানায় কোম্পানি।
কোম্পানি বলছে, প্রথম ছয় মাসে কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা বেড়ে ৩২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা থেকে ৩৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। তবে এই সময়কালে বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের তুলনায় আমদানি বিল বেশি ছিল। ফলে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য কমেছে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে প্রতিবছর বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে আরএকে সিরামিকস।
কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।