রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ থেকে ঋণের সুদ হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন একজন ঋণগ্রহীতাকে এ তহবিলের ঋণ নিতে হলে সুদ গুনতে হবে ৩ শতাংশ। আগে যা ছিল ২ শতাংশ।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে। যারা বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে লেনদেন করে তাদের অবিলম্বে নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে ইডিএফের আওতায় উৎপাদনের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো ২ শতাংশ হারে সুদ আদায় করে থাকে। আদায় করা এই সুদের ১ শতাংশ পুনঃঅর্থায়নের সুদ বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হয়। বাকি ১ শতাংশ পায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
২০২০ সালের ৭ এপ্রিল করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রথমবারের মতো ইডিএফ ঋণের সুদের হার ২ শতাংশে কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তার আগে, সুদের হার ছয় মাসের লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) সঙ্গে দেড় শতাংশ যুক্ত করে নির্ধারণ করা হত। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই উঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেত।
করোনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইডিএফ থেকে ঋণ নিলে লাইবর রেটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। সুদের হার হবে সরাসরি ২ শতাংশ।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইডিএফ ঋণে ব্যাংকগুলোর অযৌক্তিক সুদ আদায় বন্ধে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের’ জন্য সুদহার নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন পাওয়ার আগপর্যন্ত সময়ের জন্য নির্ধারিত সুদের অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
আমদানি বিল পরিশোধ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডিএফ থেকে পুনঃঅর্থায়ন তারিখ পর্যন্ত সময়কে ‘অন্তর্বর্তী’ সময় হিসেবে ধরা হবে। এই সময়ের জন্য ১ শতাংশ সুদ ব্যবসায়ীদের ওপর আরোপ করা যাবে।
সম্প্রতি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন উপকরণ আমদানির জন্য ইডিএফ থেকে ঋণের চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে ইডিএফের আকার ৭০০ কোটি ডলার।
এটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। এই তহবিল থেকে রপ্তানিকারকেরা ঋণ নিয়ে ২৭০ দিনের মধ্যে ফেরত দেন।