বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারের সঙ্গে রাজস্ব আদায় সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির তুলনায় আহরণ অনেক কম। বর্তমানে জিডিপির তুলনায় কর-রাজস্ব অনুপাত ১০ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ জিডিপির আকার ১০০ টাকা হলে রাজস্বের অংশ মাত্র ১০ টাকা, যা সারা বিশ্বে সবচেয়ে কম।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কী ধরনের কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে আইএমএফ।
সরকারের সঙ্গে সিরিজ বৈঠকের অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক হয় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন মিলনায়তনে এ বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের তিন সদস্য।
বৈঠকে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চয়েছে আইএমএফ। এ ছাড়া রাজস্ব বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা চাইলে তা দেয়া হবে বলে জানায় আইএমএফ।
কর অব্যাহিত বিষয়ে আইএমএফ বলেছে, রাজস্ব আদায় আরও বাড়াতে হলে এ সুবিধা কমাতে হবে। কর অব্যাহতি দেয়ার কারণে বছরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, তার তথ্য জানতে চায় সংস্থাটি।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, করোনার কারণে রাজস্ব আয়ে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এই ক্ষতি পোষাতে অটোমেশনসহ নানা ধরেণের সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে কোভিডপরবর্তী আদায় বেড়েছে। এ ছাড়া রাজস্ব বাড়াতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আইএমএফ প্রতিনিধিকে জানানো হয়।
বৈঠকে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে এনবিআরের মাধ্যমে ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ হয়েছে। আর প্রবৃদ্ধি বা আদায় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।