বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খেলাপি ঋণ নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগ

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২২ ২২:০৫

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দল বলেছে, সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও তা কমেনি। বরং আগের চেয়ে বেড়েছে।

বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও খেলাপি ঋণের উচ্চহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে আইএমএফ। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসনের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থমন্ত্রণায়ের একটি সূত্র নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীমউল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আর্থিক খাত নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে তারা।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের।

আগামী ২২ জুলাই ঢাকা ছাড়বেন প্রতিনিধি দল। যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সফরের ফলাফল তুলে ধরবেন।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের পাঁচ সদস্যের স্টাফ মিশন গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন। এর আগে গত মার্চে তারা প্রথম এসেছিলেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও তা কমেনি। বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। এর কারণ জানতে চায় আইএমএফ।

জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা শতকরা হারে সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি। বেশির ভাগ খেলাপি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর।

এলডিসি উত্তরণ প্রস্ততি

এর আগে সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ। সূত্র জানায়, এ বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানির সক্ষমতা, এলডিসি উত্তরণে প্রস্ততি– ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ আর কয়েক বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে। তখন রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে– আইএমএফের এ প্রশ্নের জবাবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে, পণ্যের বৈচিত্র আনা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য আগামীতে আরও গতিশীল হবে। তা ছাড়া এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো।

আইএমএফ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, এলডিসি পরবর্তী বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, বাংলাদেশ যে সব পোশাক রপ্তানি করে, তার বেশির ভাগই মৌলিক পণ্য। এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলক সস্তা। কাজেই এগুলোর চাহিদা সবসময়ই আছে এবং থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর