২০২২ সালের মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণখেলাপি হয়ে যায়। দেশটির সরকারকে ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সুদ পরিশোধের জন্য ৩০ দিন বাড়তি সময় দেয়া হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত দেশটি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়।
এমন অবস্থায় একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন জাগতেই পারে আর কোন কোন দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে?
বৈদেশিক ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এমন দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট। এই তালিকায় স্থান পাওয়া ২৫টি দেশের র্যাংক করতে তারা ব্লুমবার্গের ডেটা ব্যবহার করেছে।
তবে এই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। বাংলাদেশ ঋণখেলাপি হতে পারে, এমনটা ভাবছে না কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে তালিকায় নাম রয়েছে পাকিস্তানের।
সরকারি বন্ড, ৫ বছরের ডিফল্ট ক্রেডিট অদল-বদল, জিডিপিতে সুদের ব্যয়ের হার, জিডিপিতে সরকারি ঋণের হারের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা করা হয়েছে।
তালিকায় প্রথম দেশটি এল সালভাদর। সম্প্রতি এল সালভাদর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সতর্কতা উপেক্ষা করে বিটকয়েনকে সরকারি মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করে। পাশাপাশি দেশটি বিটকয়েন কিনতে থাকে। কিন্তু বিটকয়েনের হঠাৎ দরপতন দেশটির অর্থনীতিকে বিপর্যয়কর স্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিটকয়েনের দাম কমেছে প্রায় ৫৬ শতাংশ।
তালিকায় পরের দুটি দেশই আফ্রিকার। ঘানা ও তিউনিশিয়া।
তালিকার অধিকাংশ দেশও আফ্রিকার। এর মধ্যে রয়েছে নামিবিয়া, অ্যাঙ্গোলা, সেনেগাল, রুয়ান্ডা ও নাইজেরিয়ার মতো দেশ।
তালিকায় ৪ নম্বরে একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান।
এ ছাড়া তালিকায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা, মেক্সিকো, মিসর ও তুর্কিয়ের মতো মোটামুটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশও রয়েছে।
সম্প্রতি তুর্কিয়েতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ভোগাচ্ছে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের। এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সস্তায় জ্বালানি তেল ও সার কেনার চুক্তি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে ব্রাজিল।
রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইউক্রেন আছে তালিকার ৮ নম্বর স্থানে। দেশটির বন্ডের দাম এখন ডলারে ৩০ সেন্ট। অর্থাৎ ইউক্রেনের ইস্যু করা ১০০ ডলারের বন্ডের দাম এখন মাত্র ৩০ ডলার।