বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজার পড়ছে, দুর্বল কোম্পানি জাগছে

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৬:২৩

সবচেয়ে বেশি ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে তালিকাভুক্তির পর লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে না পারা মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর। গত পাঁচ বছর ধরেই দেখা গেছে, লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এলেই এই কোম্পানি ও একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ব্যাপকভাবে বাড়ে। তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় ৭৩ টাকা ১৫ পয়সা। এমন একটি কোম্পানির ১০ টাকার শেয়ারের দর এখন ৩২ টাকা ১০ পয়সা।

ঈদের ছুটি শেষে পর পর দ্বিতীয় দিন দরপতন হলো। লেনদেনের দিক থেকে আবার সবাইকে ছাড়িয়ে বস্ত্র খাত। তবে শেয়ারদর হারিয়েছে প্রায় সব কোম্পানি।

বিপরীতে এদিন দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এমন সব কোম্পানির, যেগুলোর বেশিরভাগই লোকসানি, লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ। আগামীতেও লভ্যাংশ দিতে পারবে- এমন আভাসও নেই।

ঈদের আগে পতনমুখি পুঁজিবাজার ছুটি শেষে ভালো কিছু করবে- এমন প্রত্যাশা ছিল না সেভাবে। আবার ঈদ শেষে সাধারণত কয়েদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় কম। তবে এদিক থেকে এবার প্রবণতা বেশ ভালো বলা যায়।

প্রথম কর্মদিবস মঙ্গলবার ৬৭৯ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। সেদিন সূচক পড়েছির ১১ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় কর্মদিবস বুধবার সূচক পড়ল আরও ৩০ পয়েন্ট, তবে লেনদেন বেড়েছে। হাতবদল হয়েছে ৭০২ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকার।

আগের দিন বস্ত্র খাতে প্রায় সবগুলো কোম্পানির দর বেড়েছিল। তবে এদিন প্রবণতা পুরো বিপরীত। চারটির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫১টির দর।

এদিন দর কমেছে সব খাতেই। ৭৭টির বিপরীতে দর কমেছে ২৫৯ টি কোম্পানির দর। অন্যদিকে ৪৫টি দর ধরে রাখতে পারে।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের আশেপাশে।

অন্যদিকে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে কেবল দুটি কোম্পানির দর। সব মিলিয়ে একটির দর ৯ শতাংশের বেশি, দুটির দর ৭ শতাংশের বেশি, চারটির দর ৪ শতাংশের বেশি, তিনটির দর ৩ শতাংশের বেশি, ছয়টির দর ২ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৫৫ শতাংশ বেড়েছে তালিকাভুক্তির পর লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে না পারা মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর। গত পাঁচ বছর ধরেই দেখা গেছে, লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এলেই এই কোম্পানি ও একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ব্যাপকভাবে বাড়ে।

তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় ৭৩ টাকা ১৫ পয়সা।

এমন একটি কোম্পানির ১০ টাকার শেয়ারের দর এখন ৩২ টাকা ১০ পয়সা।

মেঘটা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৪.৫৭ শতাংশ। এই কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান ১৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি দায় ৪ টাকা ৭৩ পয়সা।

এই কোম্পানিটির সবশেষ শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বিরোধে জটিলতায় পড়া লিবরা ইনফিউশন ২০১৮ ও ১৯ সালের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করেছে। এমন নয় যে, কোম্পানি মুনাফায় আছে। তবে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে লোকসান কিছুটা কমেছে।

২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে এই লোকসান ছিল শেয়ার প্রতি ১১ টাকার বেশি।

লোকসান কমার এই খবরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮৫৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে লাফ দিয়ে হয়েছে ৯২২ টাকা। অবশ্য কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ আছে ১ হাজার ২৬৪ টাকা।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায় বেশিরভাগ কোম্পানি লোকসানি

চীনে কার্যাদেশ পাওয়ার খবরে লোকসানি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ক্যাবলসের দৌড় থামছে না। গত ১৪ জুন দর ছিল ১২৮ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি বেড়ে হয়েছে ২০৩ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে আজ বেড়েছে ৭.১৫ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা ওসমানিয়া গ্লাস, ন্যাশনাল টিউব এবং ফাইন ফুডসও লোকসানি কোম্পানি।

এই তালিকার ৯ নম্বরে থাকা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আর্থিক ভিত্তিও বেশ দুর্বল।

বাকি দুই কোম্পানি নিটল ইন্স্যুরেন্স ও বার্জার পেইন্টস কেবল ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা থাকে, তখন স্বল্প মূলধনি দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দরে হাওয়া দেখা দেয়।

এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন বলেন, ‘বাজারে নেতিবাচক প্রবণতার কারণ হলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা। এর বাইরে কেউই নেই। তারপরও বাংলাদেশ অনেক দিক থেকে এগিয়ে আছে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কিছু টাকা নিয়ে গেছে। এখন কেউ কিনবে কেউ বেচবে, বাজার এরকম ওঠানামার মধ্য দিয়েই চলবে। এটাই বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম।

‘বলা হচ্ছে ফান্ড ঢুকবে। কিন্তু কীভাবে ঢুকবে, কোথায় থেকে ঢুকবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। নতুন গভর্নর বসেছিলেন, দেখা যাক কী হয়!’

এ বিভাগের আরো খবর