ঈদের ছুটি শেষে শুরু হয়েছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে লেনদেন শুরু হয়।
তবে প্রথম দিনে গ্রাহকদের চাপ তুলনামূলক কম ছিল। মূলত ঈদের ছুটির এই সময়ে ফাঁকা থাকায় অনেকেই ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করার জন্য আসেন।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে যারা অফিস করেছেন তারা ব্যস্ত ছিলেন সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে। ব্যাংকের শাখাগুলোতে অলস সময় পার করছেন অনেকে।
এদিন নগদ টাকা উত্তোলন, টাকা জমা, বিল পরিশোধ, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতেই গ্রাহকরা আসেন ব্যাংকে।
গ্রাহকরা জানান, কয়েক দিন পরই ভিড় শুরু হবে। এখন ফাঁকা থাকায় লেনদেনে সুবিধা হবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেন, ছুটির পর প্রথম দিনে তুলনামূলক লেনদেন কম হবে।
রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের মতো গ্রাহকের লম্বা লাইন নেই। শাখার ভেতরে এক বা দুজন গ্রাহক। নগদ টাকা তোলারও চাপ নেই।
আর মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহক থাকলেও তা খুবই কম।
ঈদের আগে ১ ও ২ জুলাই শুক্র ও শনিবার পশুর হাটসহ পোশাকশিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা ছিল।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ‘শুরুর দিনে তুলনামূলক লেনদেন কম হবে। কারণ আজ প্রথম কর্মদিবস।’
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক সব কিছু। শুরু হবে আগের মতো লেনদেন।
জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘অন্যদিন দম ফেলার ফুরসত মেলে না। ঈদের আগে শেষ সপ্তাহে গ্রাহকের চাপে হিমশিম অবস্থা ছিল। কিন্তু আজ তেমন চাপ নেই।’
রূপালী, অগ্রণী ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা গেছে, নগদ জমা ও উত্তোলনের কাউন্টারগুলোতে গ্রাহক নেই। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ট্রাভেল ট্যাক্স দেয়ার জন্য দুই-একজন কাউন্টারে উপস্থিত হয়েছেন।