বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে মসলার বাজারের কী চিত্র

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪৬

বড় এলাচ এখন ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট এলাচ ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি প্রকারভেদ অনুযায়ী ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা থাকে বেশি। চাহিদার কারণে এ সময় ক্রেতাদের বাড়তি দামে কিনতে হয় মসলা। এবার ঈদেও মসলার বাড়ার অনেকটাই বাড়তি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে মাসলার দাম তেমন বাড়েনি। দাম যা বাড়ার এক সপ্তাহ আগেই বেড়েছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, গরম মসলা ও জিরার দাম বাড়তি। তবে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম আগের মতই আছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি মসলা বিক্রেতা মো. শাওন জানান, এলাচ, দারুচিনি ও জিরার দাম এখন চড়া। তবে ঈদে কোনো মসলার দাম বাড়েনি।

তিনি বলেন, ‘এখন তো আর দাম বাড়ানোর জন্য ঈদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। তাই দাম যা বাড়ার এক সপ্তাহ আগেই বেড়েছে।’

তিনি জানান, বড় এলাচ এখন ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট এলাচ ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি প্রকারভেদ অনুযায়ী ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

জিরা প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ১০০ গ্রাম ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

শাওন বলেন, ‘মসলা আমদানি করা লাগলেও আমদানিতে তো ঘাটতি নেই। তাই মশলার দামও তেমন বাড়েনি। আর মাল পাওয়াও যাচ্ছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাই মশসার দাম তেমন বাড়েনি।’

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে খুচরা বাজারে মশলার দাম আরও বেশি। সেখানে ছোট ছোট প্যাকেট করে খুচরা মসলা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা পাইকারি বাজারের চেয়ে একটু বেশি।

সেখানকার ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম বেড়েছে। তার দোকানে মসলার মধ্যে বড় এলাচ ২৫ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দারুচিনি ১০০ গ্রাম বিক্রি করছেন ৪৫ টাকায়। লবঙ্গ ১০০ গ্রাম ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সব কিছুর দাম একটু বাড়তি। তাই মশলার দামও বাড়তি।’

মসলা ব্যবসায়ী রুবেল সর্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিরা ৪৪০ টাকা কেজি। এলাচ দুই ধরনের আছে। যার একটি ২ হাজার আরেকটি তার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঠবাদাম ৭০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে আছে।’

তিনি বলেন, ‘জিরার দাম বেড়েছে। জিরা আগে ৩৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন কেজিতে অন্তত ১০০ টাকা বেশি।’

একই বাজারে এলাচ ১০০ গ্রাম ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন মোহাম্মদ কৃষি মার্কেটে সুজন এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী সুজন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে যেহেতু চাহিদা বাড়ে তাই দামও বাড়ে। সে হিসেবে দাম বেড়েছে। দামে একটু ১৯-২০ তো হয়ই। তবে ঈদে তেমন দাম বাড়েনি।’

তিনি জানান, তার দোকানে দারুচিনি ১০০ গ্রাম ৫০ টাকায় ও প্রতি কেজি ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা থেকে তার বেশিতেও বিক্রি হচ্ছে।’

তার পাশের দোকানের সৌরভ নামের দোকানী বলেন, ‘মশলার মধ্যে জিরার দাম বেড়েছে। কারণ সরবারহ কম। অন্য সব কিছুর দাম আগের মতই।’

ওই বাজারে মসলা কিনতে এসেছেন ইশরাত আরা। মসলাম দাম শুনে তিনি বললেন, ‘ঈদ আসলেই তো মশলার দাম বাড়বে, এটা চিরচেনা বিষয়। কিন্তু অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এবার অবশ্য খুব বেশি বাড়েনি।’

আদা, পেঁয়াজ, রসুন

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান জানান, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে, নতুন করে ঈদ উপলক্ষে আর দাম বাড়েনি।

তিনি দেশি আদা ১২০ ও ভারতীয় আদা ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। রসুন ভারতীয় ১৪০ ও দেশি ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘ঈদে তেমন দাম বাড়েনি। কিন্তু তাও চাহিদার কারণে উঠতির দিকে।’

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘পেঁয়াজ ৪৫ কেজি ও ভারতীয় আদা ১১০ টাকা ও শুকনা মরিচ ১০০ গ্রাম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।’

ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম ভারতীয় রসুন ১৫০ টাকা ও দেশি ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এ ছাড়া আদা প্রতি কেজি দেশি ১২০ ও ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ২৫০ গ্রাম হলুদ গুড়া ৭০, মরিচ ৮০ ও ধনিয়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন রুবেল সর্দার।

এ বিভাগের আরো খবর