বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজস্ব আয় ৩ লাখ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২২ ২০:১৬

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সব ভ্যাট কমিশনারেট এবং কর অঞ্চল থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসেনি। যে কারণে রাজস্বের হিসাব চূড়ান্ত হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, কোরবানির ঈদের পর আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হবে।’

করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সংকটময় সময়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আরেকটি অর্থবছর পার করেছে বাংলাদেশ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও পিছু হটেনি।

এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বলা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছর ভালোভাবেই পার হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক রাজস্ব খাতে।

সদ্যবিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরে সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও আয়কর মিলে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশ।

প্রবৃদ্ধির এই হার আগের বছরের চেয়ে কম হলেও আদায় বেড়েছে। আগের ২০২০-২১ অর্থবছর রাজস্বে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০ শতাংশ। আদায় ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ী বছরে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্বের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতি হতে পারে।

অবশ্য গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রায় কোনো কাটছাঁট করা হয়নি। মূল লক্ষ্যমাত্রা যা প্রাক্কলন করা হয়েছিল, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় সেটিই বহাল রাখা হয়। ফলে ঘাটতি বেশি হয়েছে বলে জানান রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা।

মোট বাজেটের ৮৫ শতাংশ অর্থ জোগান দেয়া হয় এনবিআরের সংগৃহীত রাজস্বের মাধ্যমে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সব সময় চ্যালেঞ্জিং। কারণ এটি সব সময় বেশি ধরা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছানোর। শিগগিরই ভালো ফল দেখতে পাবেন।’

নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে হবে। বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে কি না এ প্রশ্নের উত্তরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, ‘অবশ্যই। যদিও এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখা দেননি তিনি।’

জানা গেছে, গতবার আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও আমদানি শুল্ক- এ তিনটি খাতের মধ্যে সবচেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে আমদানিতে। তবে কিছুটা পিছিয়ে আছে ভ্যাটে।

আমদানি বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি শুল্ক আহরণে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই খাতে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকার শুল্ক আয় হয়।

এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম থেকে এসেছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। বাকি শুল্ক আহরণ হয় স্থলপথের প্রধান শুল্কবন্দর বেনাপোল কাস্টম হাউসসহ অন্য শুল্কস্টেশনের মাধ্যমে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের মাধ্যমে আহরণ হয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সব ভ্যাট কমিশনারেট এবং কর অঞ্চল থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসেনি। যে কারণে রাজস্বের হিসাব চূড়ান্ত হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, কোরবানির ঈদের পর আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর