ব্যয় সংকোচন নীতিতে কঠোরভাবে হাঁটছে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে এরইমধ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের বৈঠক থেকে সম্মানী ভাতা দেয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে। এবার সরকারি কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের মোটরযান, জলযান এবং আকাশযান কেনা বন্ধের কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে জারি হওয়া এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় ‘৪১১২১০১ মোটরযান’ ‘৪১১২১০২ জলযান’ এবং ‘৪১১২১০৩ আকাশযান’ কেনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকার ব্যয় সংকোচনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দ করা অর্থ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মণিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলে জানিয়েছে সরকার।
দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
পরিপত্রে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতা দিয়ে আরও বলা হয়, বরাদ্দে অব্যবহৃত অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না।