বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বস্ত্রে

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২২ ১৫:১৬

বেশ কিছুদিন পর ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতও বেশ ভালো করেছে। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।

অল্প অল্প করে হলেও টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। তলানি থেকে দুই দিনে উঠে আসা লেনদেনও ধরে রেখেছে তার অবস্থান।

আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে ঝিমুতে থাকা পুঁজিবাজারে বাজেট পাসের আগে আগে কিছুটা হলেও প্রাণ ফেরার চিত্র দেখা যাচ্ছে।

প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে এদিন আগ্রহ ছিল বেশি। লেনদেনের ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশই হয়েছে এই দুই খাতে। আগের দিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল বস্ত্র খাতে।

বেশ কিছুদিন পর ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতও বেশ ভালো করেছে। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।

দর বাড়ার শীর্ষে আবার স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য দেখা গেছে। অন্যদিকে মৌলভিত্তির কোম্পানিতে লেনদেন দেখা গেছে কম।

আবারও বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দিনের দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। এর মধ্যে পাঁচ বছর পর উৎপাদন শুরু করার ছয় মাস পর তেল বাজারজাত করার ঘোষণা দেয়া এমারেল্ড অয়েলও ছিল।

আগের দিন রাজধানীতে অনুষ্ঠান করে ধানের কুঁড়ার তেল স্পন্দন বাজারজাত করার পাশাপাশি ছয় মাসেই ব্রেক ইভেনে অর্থাৎ না লাভ, না লোকসানে চলে আসার ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। এতে দিনের শুরুতে শেয়ারদর কিছুটা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দর হারিয়ে শেষ করে লেনদেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ২৬ পয়েন্ট দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে আসে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। সেদিন পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবস লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমে যায়। তবে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে যে ক্রয় চাপ দেখা দেয়, পর দিনও তা অব্যাহত থাকে। সেদিন লেনদেন ছাড়ায় ৮১৮ কোটি টাকা।

বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের টানাটানি লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের শুরুতেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। আগের দুই দিনের চিত্রের কারণে সে সময় লেনদেন নিয়ে আশাবাদ তৈরি হয়। কিন্তু এর পরের এক ঘণ্টায় পড়ে সূচক আগের দিনের অবস্থানে নেমে আসে। এরপর আবার ওঠানামা করতে করতে বেলা শেষে আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।

বেলা শেষে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৮১৮ কেটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

দিন শেষে বেড়েছে ১৫৭টির কোম্পানির দর, বেড়েছে ১৭২টির দর, ৫২টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘অনেক কোম্পানির অর্থবছর চলতি মাসেই শেষ হবে, নতুন বছর শুরু হবে দুদিন পর থেকে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পছন্দের শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন বিনিয়োগকারীরা। এতে লেনদেন বাড়বে।’

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

দর বৃদ্ধি যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। ৮ জুন লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর কাছাকাছি পর্যন্ত।

৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়ে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। এক হাজার ৬৪২ বারে ৫৫ হাজার ৩১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওই দামে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। দর ২ টাকা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সায়। শেয়ারটির দর প্রায়ই ওঠানামা করতে দেখা যায়। তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ২২ মে, ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছরের শেয়ার প্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার কারণে কমেছে লভ্যাংশের পরিমাণ।

এর পরেই দর বেড়েছে এমবি ফার্মা লিমিটেডের। ৪২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৩৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল মূলধনি কোম্পানিটি ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৫ টাকার বেশি লোকসান দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বিনিয়োগকারীরা।

এ ছাড়াও দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে পেপার প্রসেসিং, লোকসানি ইমাম বাটন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস, আজিজ পাইপস, সোনালী পেপার ও বিডি মনোস্পুল।

দর পতনের শীর্ষ ১০

দরপতনের শীর্ষে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়। ৫৪ বারে ১২ হাজার ১৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা।

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন আপডেট করা নেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। তবে ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি কোম্পানিটি। চলতি বছরের শুরু থেকেই দর পতন হচ্ছে কোম্পানির শেয়ারের।

জনতা ইন্স্যুরেন্স তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। ৭ জুন থেকে ১৪ কর্মদিবস দর কমল শেয়ারটির। যদিও গত পাঁচ বছর ধারাবাহিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে।

দেশ গার্মেন্টস দর পতনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৬৩ টাকা ৩০ পয়সা লেনদেন হয়।

দর পতনের শীর্ষ দশের বাকিগুলো হলো: সাভার রিফ্যাক্টরিজ, বঙ্গজ, ফরচুন সুজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, রুপালী ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।

সূচক বাড়াল যারা

সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। দর কোম্পানিটির ২ দশমিক ৭২ শতাংশ দর বেড়েছে।

ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।

সোনালী পেপার সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, ইবিএল, এনআরবিসি ব্যাংক, রেনাটা, ম্যারিকো, যমুনা অয়েল ও পূবালী ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বেক্সিমকোর দর শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।

এ ছাড়া বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো ফার্মা, আইসিবি, বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, র‌্যাক সিরামিকস, আইপিডিসি ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।

এ বিভাগের আরো খবর