বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন স্ট্র্যাটেজি (এসএফআইএস) এর আওতায় আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক হিসেবের বাইরে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের আর্থিক অন্তর্ভূক্তির অধীনে নিয়ে আসতে।
দেশের ২ লাখ শিল্প শ্রমিক এবং তাদের এলাকাবাসীদের আনুষ্ঠানিক আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ। মেটলাইফ ফউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখনও যে ৭১ শতাংশ জনগোষ্ঠী ডিজিটালভাবে লেনদেনের বাইরে রয়েছেন তাদের একটি অংশকে এই সেবার অধীনে আনা হবে।
পাশাপাশি আরএমজি ক্লাস্টারে থাকা শিল্প শ্রমিকদের আধুনিক আনুষ্ঠানিক সঞ্চয় বাড়িয়ে, ব্যাংক ঋণের সুযোগ তৈরি করে, বিভিন্ন সাস্থ্য বীমা ও নিয়মিত ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় এনে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করা হবে।রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকদের আর্থিক অন্তর্ভূক্তির মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগে গৃহীত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদ্ভাবনী এই উদ্যোগটির ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্পের সাথে মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা।
এর আগে সারথী টিম লিডার বিপাশা শারমিন হোসেন শতভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ২০২৪ সালের মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির মধ্যে কীভাবে আনা যায়, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রগতি: তৈরি পোশাক কর্মীদের সুযোগ তৈরি’ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ, বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং নগদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ।বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ব্যাংকহীন জনগোষ্ঠী এবং তাদের একটি পরিকল্পিত এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিতে হ্যান্ডসেট, ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে ছড়িয়ে দিতে অ্যাপ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।