বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামাকপণ্যে কর সংশোধনের দাবি

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ২০:২৬

আলোচকরা বলেন, ‘বাজেটে সিগারেটের ওপর যে কর ধার্য করা হয়েছে তাতে সিগারেটের বিক্রি না কমে উল্টো দেড় শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজেটে সিগারেটের প্রস্তাবিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট ইতোমধ্যেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে।’

বাজেটে সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে যে করের প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তামাকবিরোধীরা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত করের চেয়ে বেশি করারোপের পক্ষে তারা।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত এক আলোচনায় সংসদ সদস্যসহ আলোচকরা এ অভিমত দেন।

তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন, গবেষক এবং অ্যাক্টিভিস্টরা সম্মিলিতভাবে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের যে প্রস্তাবনা দিয়েছিল তা বাজেটে একেবারেই প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করেন আলোচকরা।

আলোচনায় অংশ নেয়া সংসদ সদস্যদের মধ্য ছিলেন শিরীন আখতার, ফজলে হোসেন বাদশা, উম্মে ফাতেমা নাজমা, আফতাব উদ্দিন সরকার, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, মো. হারুনুর রশীদ এবং মো. সাইফুজ্জামান।

আলোচনায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো এক ধাক্কায় অনেকখানি কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। যাতে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর মধ্যে তামাক ব্যবহারের মাত্রা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা যায়। কর আদায়ে সুবিধার জন্য সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবনাও ছিল।

‘কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্কহার আগের মতোই রেখে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অতি-সামান্য বাড়ানো হয়েছে। সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এতে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের সম্ভাব্য সুফল থেকে দেশ বঞ্চিত হবে।’

আলোচকরা বলেন, ‘বাজেটে সিগারেটের ওপর যে কর ধার্য করা হয়েছে তাতে সিগারেটের বিক্রি না কমে উল্টো দেড় শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজেটে সিগারেটের প্রস্তাবিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট ইতোমধ্যেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কর প্রস্তাব অপরিবর্তিত থাকলে সিগারেট কোম্পানির বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে।

‘সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যমান কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে তামাকের ব্যবহার কমবে, জীবন বাঁচবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। নিম্ন স্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলক স্বল্প আয়ের মানুষকে ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত করবে। উচ্চ স্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ধূমপায়ীদের পছন্দের সামর্থ্য সীমিত হবে। ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে।’

সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, ‘বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই অর্থমন্ত্রীর কাছে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন অন্তত ১০০ জন সংসদ সদস্য। এরপরও বাজেটে তা প্রতিফলিত না হওয়া লজ্জাজনক।’

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘সংসদ সদস্যসহ অন্য সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই বাংলাদেশে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপ সম্ভব হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হলেও সেটি এখনও সংশোধনের সুযোগ আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর