চলতি সপ্তাহের তিন কর্মদিবসের প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে দরপতন দেখল বিনিয়োগকারীরা। বাজেট পেশের পর আগের সপ্তাহের তিন দিন পতনের পর দুই দিন ঘুরে দাঁড়ালেও আবার পতনের ধারায় ফেরায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা জেঁকে বসেছে।
রোববার ১৯ পয়েন্ট, সোমবার ৪৯ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার পড়ল ৪৫ পয়েন্ট। অর্ধাৎ তিন দিনে দরপতন হলো ১১৩ পয়েন্ট।
এক দিনে দর কমেছে ২৮২টি কোম্পানির। বিপরীতে বেড়েছে ৫৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির দর। সোমবারও একই সমান কোম্পানির দর কমেছিল।
গত ৯ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের পর ১২ থেকে ১৪ জুন তিন কর্মদিবসে ১১৮ পয়েন্ট সূচক পড়েছিল। পরের দুই দিনে ৬৪ পয়েন্ট উত্থান হওয়ার পর রোববার ভালো দিন কাটবে ভেবেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে পড়ছে সূচক।
বাজেট পেশের পর গত সপ্তাহে সূচক পড়লেও লেনদেন বাড়ছিল ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।
গত ১৬ জুন লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও পরের তিন কর্মদিবসে ধারাবাহিকভাবে কমছে লেনদেন।
রোববার হাতবদল হয়েছিল ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সোমবার তা কমে হয় ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। পরের দিন তা আরও কমে হয়েছে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র
গত সপ্তাহে দুই দিন পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছিল কিছু ঘটনায়। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা নামে পরিচয় পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গত বুধবার এক আলোচনায় বাজেট পাসের সময় এই সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেন।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ে আরেক স্বস্তিদায়ক খবর আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উপমহাব্যবস্থাপক, যাকে পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছিল, ১৯ বছর পর তার দপ্তর বদল করা হয়েছে।
তারপরেও পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রোকারেজ হাউস এক্সপো ট্রেডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শহীদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া না দেয়া নিয়ে একটা দোটানা রয়েছে। সামনে বিপুলসংখ্যক কোম্পানির ক্লোজিং হবে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ কারণে অনেকেরই বিনিয়োগ কম হচ্ছে।’