বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমান অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছে: এওএবি

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ২২:৩৭

বেসরকারি এভিয়েশন অপারেটরদের সংগঠন এওএবি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও শিল্প উপদেষ্টাকে এক চিঠিতে বলেছে, ‘ভর্তুকি দিয়ে টিকিটের দাম কমিয়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না বিমান। একইসঙ্গে জেট ফুয়েল কেনাসহ বিভিন্ন সরকারি চার্জ পরিশোধের বিষয়েও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।’

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অসুস্থ প্রতিযোগিতার অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে দেয়া এক চিঠিতে এই অভিযোগ করে বেসরকারি এভিয়েশন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশেন অফ এভিয়েশন অপারেটরস বাংলাদেশ (এওএবি)।

এওএবি মহাসচিব মফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ভর্তুকি দিয়ে টিকিটের দাম কমিয়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না বিমান। একইসঙ্গে জেট ফুয়েল কেনাসহ বিভিন্ন সরকারি চার্জ পরিশোধের বিষয়েও বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে প্রতি বছর এওসি (এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট) নবায়নের সময় বেবিচকের সব ধরনের চার্জ নগদে পরিশোধ করতে হয়। নগদ অর্থের বিনিময়ে কিনতে হয় জ্বালানি তেল। অথচ বিমান বছরের পর বছর বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিভিন্ন চার্জ বাকি রেখে এবং পদ্মা অয়েলের কাছ থেকে বাকিতে জেট ফুয়েল কিনছে। এ দুই ক্ষেত্রেই বিমানের বিপরীতে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’

‘১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরেই দেশে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো দাঁড়ানো শুরু করে। যাত্রীদের কোনো ধরনের সেবা না দিয়েই দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান বাংলাদেশ একচেটিয়া ফ্লাইট পরিচালনা করত। সে সময় একচেটিয়া বাজার বন্ধে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেন। বর্তমানে দেশের ৮০ ভাগ অভ্যন্তরীণ যাত্রীই বহন করছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স। সেক্ষেত্রে বিমান বহন করছে মাত্র ২০ ভাগ।’

বিভিন্ন সময় দেশে চালু হওয়া বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ইতোমধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেডের মতো বেসরকারি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গেছে। মোটা দাগে এর জন্য জেট ফুয়েলের অধিক মূল্যবৃদ্ধি ও বেবিচকের নানামুখী চার্জই দায়ী।

‘তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ বরাবরই বাদ পড়ে যায়। সেটি হলো বিমানের লুণ্ঠনমূলক অপকৌশল। বর্তমানে বিমান বিভিন্ন রুটের টিকিটের দাম কমিয়ে ভর্তুকি দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানের এই অপকৌশল দেশে বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে দাঁড়াতে দেয়নি। দেশে মোট আটটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স বিভিন্ন সময় হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও শেষ পর্যন্ত কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।’

উদাহরণ দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিমানের চট্টগ্রাম রুটের ভাড়া ছিল ২ হাজার ৮৫০ টাকা। আর জিএমজির ভাড়া ছিল ৪ হাজার টাকা। তবে বিমান তাদের ভাড়া কমিয়ে ২ হাজার ৩০০ টাকা করে ফেলে। এক সময় যখন দুবাই রুটে জিএমজি অধিকসংখ্যক যাত্রী বহন করা শুরু করে সে সময় বিমান তাদের ভাড়া ৪৭৫ ডলার থেকে নামিয়ে ৩৫০ ডলার করে ফেলে। এর পরপরই জিএমজি তাদের অপারেশন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

‘শুধু তাই নয়, বিমান অভ্যন্তরীণ রুটে বোয়িং-৭৩৭ এর মতো মধ্যম পাল্লার উড়োজাহাজ পাঠিয়ে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী বহন করেছে। বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো এক সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে অল্প কিছু যাত্রী নিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে কানেক্টিং ফ্লাইট পরিচালনা করতো। কিন্তু ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার পর থেকে এভাবে যাত্রী বহন বন্ধ করে দেয় বেবিচক।’

এওএবি’র অভিযোগ, বেবিচকের নির্দেশ অমান্য করে বিমান এখনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী বহন করছে। বিমান অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে প্রতি আসনে প্রায় ২ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেয়ায় বিমানের ১৬০ থেকে ২০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর