ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানি এক্সেলসিউর সুজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি। ১৫ জুলায়ের মধ্যে ওই পরিমাণ শেয়ার ধারণ না করলে কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
১৫ জুন বিএসইসি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পর্ষদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য বলছে, এক্সেলসিউর সুজের পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে মধ্যে মাত্র ৬.৩০ শতাংশ অর্থাৎ মাত্র এক লাখ ৮৯ হাজার শেয়ার রয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
এর বাইরে ২৩ শতাংশ বা ৬ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৭০.৭০ শতাংশ বা ২১ লাখ ২১ হাজার শেয়ার।
২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ওই কমিশন সংস্থাটির আইনের ‘২সিসি’ ধারার ক্ষমতাবলে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই নির্দেশনা জারি করে।
তবে শুরুতে এই নির্দেশনাটি নিয়ে কয়েকটি কোম্পানির পরিচালক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিএসইসির নির্দেশনার পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিকে উদ্যোক্তা ও পরিচালক সম্মিলিতভাবে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের জন্য নির্দেশনা দেয়।
১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সেলসিউর সুজের প্রতিটি শেয়ার ওটিসি মার্কেটে সর্বশেষ ১২ টাকায় হাতবদল হয়েছে।