বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ০১:৪০

ফজলে কবির বলেন, ‘২০২১ সালের জুন পর্যন্ত আমরা ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার মানি মার্কেট থেকে কিনেছি। কিন্তু বর্তমানে সরকারের খাদ্য, জ্বালানি, বিদুৎ, সার এসব জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এতে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে।’

যেকোনো সংকটের সময় অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। দেশের স্বার্থে এগুলো প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর ‘বাংলাদেশে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমের ২০ বছর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন।

সেমিনারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন।

আগামী ৩ জুলাই গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সবাই গভর্নরকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিএফআইইউ শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে হবে।’

আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সব কাজে কমপ্লায়েন্স থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা এবং ডলারের বিনিময় হার আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান ফজলে কবির।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমে এলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আগে আরও বেশি ছিল, কিন্তু এটা কমে এসেছে। এটা ভয়ের কোনো বিষয় নয়।’

ফজলে কবির বলেন, ‘২০২১ সালের জুন পর্যন্ত আমরা ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার মানি মার্কেট থেকে কিনেছি। কিন্তু বর্তমানে সরকারের খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, সার- এসব জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এতে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেছে।’

আমদানি ব্যয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি মাসে সর্বোচ্চ আমদানি ব্যয় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় বাবদ ব্যয় হবে সাড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ। এর সঙ্গে জরুরি খাদ্য নিরাপত্তাসহ আরও কিছু আমদানির ব্যয় হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে ২৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। যদিও এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

গভর্নর বলেন, ‘আমরা এখনো রিজার্ভে অনেক সারপ্লাস আছি৷ কিন্তু এই রিজার্ভ নিয়ে আত্মতুষ্ট হলে চলবে না। এদিকে আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।’

আর্থিক খাতের ৮০ শতাংশ কাজ ব্যাংক সম্পর্কিত বলেও জানান তিনি।

করোনার সময়ে কেউ রাস্তায় বের না হলেও ব্যাংকাররা সেবা দিয়ে গেছে। সে সময় ১৮৯ জন ব্যাংকার মারা গেছেন। অনেক চ্যালেঞ্জ পার করতে হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সবাই একযোগে কাজ করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর