কালো টাকা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানিয়েছেন, তার বক্তব্যকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। বিভ্রান্তি এড়াতে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
“ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই ‘কালো টাকার মালিক’: অর্থমন্ত্রী”- শিরোনামে বুধবার দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এতে জনমতে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এসব নজরে এলে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ শিরোনামকে অতি আকর্ষণীয় করার তাগিদে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের অংশবিশেষ- “ঢাকায় যাদের জমি ও ফ্ল্যাট আছে সবাই ‘কালো টাকার মালিক’: অর্থমন্ত্রী” ব্যবহার করায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
পুরো সংবাদটি যদি কেউ না পড়ে তবে এ ধরনের শিরোনামে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। তাই প্রকৃত বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভ্রান্তি সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী বুধবার অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, প্রকৃত দাম তার চেয়ে বেশি। তবে বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না। প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেয়া আছে। তাই বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না। সুতরাং কালো টাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে; কে কালো টাকার বাইরে আছে।’
একই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে হয়তো যে ফ্ল্যাট দুই কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সে ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম ১০ কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত?’
‘সুতরাং ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই এক অর্থে ‘কালো টাকার মালিক’। তবে এ পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান ‘সিস্টেম’ বা ব্যবস্থা দায়ী।’