বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিত

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ২০:২০

শামসুল আলম বলেন, ‘এসব টাকা অর্থনীতির মূলধারার বাইরে থাকলে কোনো লাভ হয় না। কাজে আসে না। বরং এগুলোকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসতে পারলে দেশের জন্য তা মঙ্গলজনক।’

পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগ করার যে প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে, তা দেয়া উচিত বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

তিনি বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থকে অর্থনীতির মূল স্রোতে আনার লক্ষ্যে এ প্রস্তাব বিবেচনার দাবি রাখে।’

বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে ‘পুঁজিবাজারের প্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন শামসুল আলম।

গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। সেখানে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে পুঁজিবাজারের প্রাপ্তি ও করণীয় সম্পর্কে পর্যালোচনার জন্য বিএমবিএ ও সিএমজেএফের যৌথ উদ্যোগে আলোচনার আয়োজন করা হয়।

সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় মূল প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান।

উপস্থাপনায় বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান ৫ শতাংশ কর দিয়ে শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ দেয়া হলে একদিকে কালো টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় যুক্ত হব, অন্যদিকে তা পুঁজিবাজারকে গতিশীল হতে সাহায্য করবে। কালো টাকা অর্থনীতির মূল ধারার বাইরে থাকলে তা নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা থেকে যায়।’

তিনি তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান। তাতে বড় ও লাভজনক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে উল্লেখ করেন।

ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘নানা কারণে বড় উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারে আসতে তেমন আগ্রহী নন। তাদের আগ্রহী করে তুলতে ভালো আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন। অতীতে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারে ১০ শতাংশ ব্যবধান ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে তা কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আগামী অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কারহারও আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘তাতে এই দুই ধরনের কোম্পানির করহারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশই থেকে যাচ্ছে। এটি ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত করবে। কারণ একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে অনেক কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে হয়, যার কারণে তাদের ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় আর আকর্ষণীয় মনে হয় না।’

বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট করহারের পাশাপাশি তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) হারেও ব্যবধান রাখার প্রস্তাব করেন। তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের হার ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান।

ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ বিতরণের সময় কেটে রাখা আয়করকে (উৎসে কর) তার চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ছায়েদুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক।’

তিনি নিজেও চান, এই বাজার আরও ভালো চলুক, বড় কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসুক, এসব কোম্পানিতে জনগণের অংশীদারত্ব বাড়ুক।

কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টিকে সমর্থন করে শামসুল আলম বলেন, ‘এসব টাকা অর্থনীতির মূলধারার বাইরে থাকলে কোনো লাভ হয় না। কাজে আসে না। বরং এগুলোকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসতে পারলে দেশের জন্য তা মঙ্গলজনক।’

এ বিভাগের আরো খবর