বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ, তবে অসম্ভব নয়: আইসিএমএবি

  •    
  • ১১ জুন, ২০২২ ১৯:২৬

আইসিএমএবি সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ এবং নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা করা উচিত। এ ছাড়া যাদের আয়ের উৎস শুধু পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ, তাদের রিটার্ন অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করছি।’

প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের বিপরীতে ব্যয়সহ যে ঘাটতি ধরা হয়েছে, সেটা অর্জন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব নয়।

ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ শনিবার এমন মন্তব্য করেছেন।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের নানা বিষয়ে শনিবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় আইসিএমএবি। এ উপলক্ষে রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইসিএমএবি সভাপতি ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা এবং নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র নাগরিক যাদের আয়ের উৎস শুধু পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ, তাদের রিটার্ন দেয়া থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করছি।’

‘যাতায়াত ব্যয় সবার ক্ষেত্রেই অনেকটা বেড়ে গেছে। তাই ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য যাতায়াত ভাতায় করমুক্ত সীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা উচিত।

‘বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগের খাতগুলো বৃদ্ধি করা উচিত। পুঁজিবাজারের বিষয়টি সবাই ভালোভাবে বোঝেন না। সে জন্য ডিপিএস সীমা ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার করা উচিত।’

আইসিএমএবি সভাপতি বাজেটে খাদ্য, কৃষি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পায়ন, ব্যবসার প্রসার ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্ট সেক্টর, পরিবহন শিল্প এবং বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।

অ্যাডভাইজরি, কনসালটেন্সি প্রফেশনাল, টেকনিক্যাল ইত্যাদি সার্ভিস ফি থেকে উৎসে আয়কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করারও দাবি জানান তিনি।

মামুনুর রশিদ বলেন, ‘কর কাঠামোতে স্টার্টআপ সেন্ড বক্স একটি ভালো উদ্যোগ। এখানে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ দেয়া উচিত।

‘মূসক আইন অনেক বাস্তবমুখী এবং ব্যবসাবান্ধব করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার পরও ব্যবসা সহজ, স্বচ্ছ ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের এতে সম্পৃক্ত করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে বাজেট বিষয়ে আরও বক্তব্য দেন সাফা উপদেষ্টা ও সাবেক সাফা প্রেসিডেন্ট এ কে এম দেলোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি এ কে এম কামরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ মো. আলী হায়দার চৌধুরী, ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

বাজেট প্রতিক্রিয়ার ওপর পেপার উপস্থাপন করেন শফিকুল আলম অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রিন্সিপাল অ্যান্ড সিইও মো. শফিকুল আলম।

এ বিভাগের আরো খবর