বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজেট প্রতিক্রিয়া: ৮ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা চায় সিএসই

  •    
  • ১১ জুন, ২০২২ ১৭:৩২

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাজেটে করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব ইতিবাচক। তবে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে দেয়া বেশকিছু প্রস্তাব প্রস্তাবিত বাজেটে আমলে নেয়া হয়নি। এগুলো আমলে নিলে সার্বিকভাবে তা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক হবে। রাজস্বও বাড়বে।

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সংস্থাটি একই সঙ্গে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পুনর্বিবেচনার জন্য আটটি প্রস্তাব দিয়েছে।

শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগ ও জিডিপি অনুপাতের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রয়াসে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত ২৩ শতাংশ। উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার এই অনুপাত বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যা খুবই ইতিবাচক বলে আমরা মনে করছি।’

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘স্টক এক্সচেঞ্জ সদস্যদের লেনদেনের ওপর বিদ্যমান উৎসে কর ০.০১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছিল, যা বাজেটে বিবেচিত হয়নি। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পরিচালন খরচ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে ব্রোকারেজ সেবার কমিশন অত্যন্ত কমে আসায় এই কর্তনকৃত অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর কর দায় হিসেবে বেশি হয়ে যায়। তাই উৎসে করহার কমাতে আমাদের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।

‘এ ছাড়া ব্রোকারদের বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি থেকে প্রাপ্ত আয় ১০০ টাকা থেকে বিবেচ্য করকে উল্লিখিত ০.০১৫% উৎসে কর সংযুক্ত হয়েছে বলে বিবেচনার আবেদন করছি।’

অর্থনীতির অধিকতর আনুষ্ঠানিকীকরণ এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রত্যাশিত বাজেটে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহার কমানোর ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সিএসই চেয়ারম্যান। পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার সুপারিশ করেন তিনি।

সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার কমিয়ে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করহারের ব্যবধান বাড়ানো হলে কর সুবিধা রেয়াতের জন্য ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে। এতে একদিকে পুঁজিবাজার সমৃদ্ধ হবে, অন্যদিকে লেনদেন বাড়লে তা থেকে বাড়তি কর আদায় হবে।

‘তাছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ে। নানা সংস্থার তদারকিতে থাকতে হয় বলে কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগও কমে আসে। তাতে সরকারের কর আদায় নিশ্চিত হয়।’

সিএসইর বিদ্যমান প্রযোজ্য করপোরেট করহার ৩০ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এটা শূন্য হারে নির্ধারণের অনুরোধ করেন আসিফ ইব্রাহিম।

চতুর্থ প্রস্তাব হিসেবে সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রির কথা বিভিন্ন সময়ে বলা হলেও ঘোষিত বাজেটে এর কোনো পরিকল্পনা পরিলক্ষিত হয়নি। অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ার অফলোড করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং এ ব্যাপারে বিশেষ কর ছাড় থাকতে পারে।’

বাজার শক্তিশালী করতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখার পক্ষে সিএসই। আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের জন্য ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা রহিত করা হয়েছে। এই সুবিধা আগামী বছর পর্যন্ত বহাল রাখতে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। এতে বাজার শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, অর্থ পাচারও কমে আসবে।’

এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য প্রথম তিন বছর শূন্য হারে এবং পরবর্তী সময়ে ১৫ শতাংশ হারে কর রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেন আসিফ ইব্রাহিম। বলেন, ‘সাধারণত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো প্রাইভেট হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কাঠামো দুর্বল হওয়ায় সরকারের তেমন কোনো রাজস্ব আদায় হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর