বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রস্তাবিত বাজেট বিনিয়োগবান্ধব: চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি

  •    
  • ১০ জুন, ২০২২ ১৩:০১

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘এটা একটা বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। যেহেতু অনেকগুলো খাতে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। তাছাড়া অনেক খাতে এক্সপোর্টেও আরএমজি ছাড়া অন্যান্য এক্সপোর্ট আইটেমে ১২ শতাংশ ট্যাক্স করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটা এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে। বিনিয়োগের পরিবেশটাও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।’

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিটাগাং চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। আর মূল বাজেটের চেয়ে এটি ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেয়া মূল বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

এ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘এটা একটা বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। যেহেতু অনেকগুলো খাতে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। তাছাড়া অনেক খাতে এক্সপোর্টেও আরএমজি ছাড়া অন্যান্য এক্সপোর্ট আইটেমে ১২ শতাংশ ট্যাক্স করা হয়েছে। আমি মনে করি, এটা এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে। বিনিয়োগের পরিবেশটাও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বাজেট উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে তিনি বলেন, ‘বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ, পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এমন কোম্পানির কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে; যা বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। ট্রেডিং পণ্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ইতিবাচক। ম্যানুফ্যাকচারারদের কাছে কাঁচামাল সরবরাহে উৎসে কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।’

‘পারকুইজিট খাতে অনুমোদনযোগ্য ব্যয়সীমা ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ২৫ জনের বেশি প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হলে প্রদেয় করের ৫ শতাংশ রেয়াত দেয়া হবে, যা প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। এক বা একাধিক উৎপাদনস্থলের ক্ষেত্রে কম্পিউটারাইজড অটোমেটেড পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণের শর্তে কেন্দ্রীয় নিবন্ধন গ্রহণ করার বিধানকে আমরা স্বাগত জানাই।’

চেম্বার সভাপতি আরও বলেন, ‘উৎসে ভ্যাট কর্তনের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী কর্তৃক হ্রাস সংক্রান্ত সমন্বয় গ্রহণের সময়সীমা ২ কর মেয়াদ থেকে বৃদ্ধি করে ৪ কর মেয়াদ করা হয়েছে, যা ভ্যাটের ক্ষেত্রে ইতিবাচক। দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজ চলাচল উৎসাহিত করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করমুক্ত করা হয়েছে, যা এই সেক্টরে নতুন বিনিয়োগে আশা জোগাবে।

‘এ ছাড়া নির্ধারিত তারিখে মূসক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ করতে না পারার জরিমানা ১০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা এবং ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে রাজস্বের সমপরিমাণের অর্ধেক জরিমানা প্রস্তাব করা হয়েছে যা ব্যবসাবান্ধব। আইসিটি খাতে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করহার দশমিক ৬ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ১ শতাংশ করা এই উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে। বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াতের হার রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগের ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

‘স্টিলজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত এইচআর কয়েল এবং অন্যান্য কাঁচামাল আমদানিতে করহার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা, স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর বিলোপ এসব পণ্যের মূল্য হ্রাস করবে। তবে ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা এবং রপ্তানিকৃত পণ্যদ্রব্যের উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ শতাংশ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। তৈরি পোশাকশিল্পের মতো অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রেও একই হারে কর ধার্য করার ফলে রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরবরাহের বিপরীতে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা এবং মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করলেও রেয়াত প্রদান ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সহজ করবে।’

দেশে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরগাড়ি উৎপাদনে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করবে। পাইকারি ব্যবসায় কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। কৃষিপণ্য, ফিশ ও পোল্ট্রি ফিড, পোল্ট্রি ফার্মের যন্ত্রপাতি, চিনি, ইস্পাতের কাঁচামাল, কাগজ ও কাপড় ইত্যাদি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজের চিলার আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর