‘প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়বে। একইসঙ্গে বাড়বে সরকারের স্বাস্থ্যব্যয়। বাড়তি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছে তামাকবিরোধী সংগঠন ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞা’ ও ‘অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা’।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন দুটি বলেছে, জাতীয় বাজেট প্রণয়নে তামাকবিরোধীদের কোনো দাবি আমলে নেয়া হয়নি এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তারা জানিয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য মাত্র এক টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এ স্তরে সিগারেটের দাম বাড়বে মাত্র ২.৫৬ শতাংশ, যা ১০ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় খুবই সামান্য। ফলে এ স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য কমবে এবং তরুণ ও নিম্ন আয়ের জনগণের মধ্যে কম দামি সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশই নিম্ন স্তরের দখলে, যার প্রধান ভোক্তা মূলত দরিদ্র ও তরুণ জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখে কেবল খুচরা মূল্য এক টাকা বাড়ানোর কারণে বর্ধিত মূল্যের একটা অংশ কোম্পানির পকেটে চলে যাবে।
সংগঠন দুটি বলছে, বাজেটে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ি, জর্দা ও গুলের দাম এবং কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এটা হতাশাজনক।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কম দামি সিগারেটের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং তামাকবিরোধীদের দীর্ঘদিনের দাবি সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রচলনের কোনো নির্দেশনা নেই। চূড়ান্ত বাজেটে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’