আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাকে কল্যাণমূলক বলে অভিহিত করেছে এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠন থেকে বাজেটোত্তর তাৎক্ষণিক দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় দাবি করা হয়েছে, এই বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। যা সবাইকে আশান্বিত করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশের পর রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটটি এমন এক সময়ে পেশ করা হয়েছে যখন করোনার বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। এখন আবার এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি সমন্বয় করে অর্থমন্ত্রী যে বিশাল সামাজিক সুরক্ষামূলক বাজেট দিয়েছেন সেটি নিঃসন্দেহে কল্যাণমূলক বাজেট হয়েছে।’
এফবিসিসিআই সভাপতির দাবি, এই বাজেটটি করার সময় অর্থমন্ত্রীকে অনেক চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই করতে হয়েছে। বলেন, ‘সেই পরিস্থিতিতে তিনি যেভাবে সামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ মনোনিবেশ করেছেন সেটিই বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক। যা আমাদের আশান্বিত করেছে।’
তবে বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি নিতে গিয়ে যাতে এই ব্যবস্থার উপর কোনো চাপ তৈরি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে পরামর্শ রেখে তিনি বলেছেন, ব্যাংক ব্যবস্থায় জোর না দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেয়াটাই অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য সুখকর হবে।
কর্পোরেট করে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এ দাবির প্রতিফলন বাজেটে ঘটেছে বলে এর জন্য বিজনেস কমিউনিটির পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তবে উৎস করহার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করায় রপ্তানিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজেট পাশের আগে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
তবে তিনি দাবি করেন, এটা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করে শিগগিরই বিস্তর পরিসরে প্রতিক্রিয়া জানাব।’