বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ২২:০৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় এ বছরও প্রস্তাবিত বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।’

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এই খাতে এর বেশি বরাদ্দের প্রয়োজন নেই বলে ধারণা করছে সরকার। নতুন সংকট দেখা দিলে বরাদ্দের আকার বাড়বে।

আগের অর্থবছরে করোনা মোকাবিলায় দুই বারে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। তবে এই অর্থের বড় অংশই ব্যয় করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরি সংকট মোকাবিলায় আপৎকালীন যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা যথাযথ হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে এই বরাদ্দ অন্য খাতে ব্যয় করতে পারবে সরকার। তবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ তেমন একটা না বাড়াটা হতাশার।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার বিকালে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় এ বছরও প্রস্তাবিত বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।

‘স্বাস্থ্য খাতের যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য বিগত দুই বাজেটেই আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা করে থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম। দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে। কিন্তু এর পুনরাবির্ভাবের আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও এ অতিমারির প্রকোপ রয়েছে। সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও এ কারণে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরেও স্বাস্থ্য খাতের জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।’

করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় আপৎকালীন বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান না জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ও ব্যয় বৃদ্ধির সক্ষমতা নিয়ে তাদের প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আপৎকালীন বরাদ্দটা যথাযথই হয়েছে। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ বাড়ছে। একইসঙ্গে আগামীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে। এসব রোগের প্রাদুর্ভাবে আপৎকালীন বরাদ্দ ব্যয় করতে পারবে সরকার। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সংকট ও জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বাজেট আরও বাড়ানো যেত।’

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, ‘আপৎকালীন বরাদ্দ প্রতিবছরই রাখা হয়। তবে এ বছর কিছুটা কমেছে। তবে মূল সমস্যাটা হলো, স্বাস্থ্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। আবার বরাদ্দ ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপও দৃশ্যমান নয়। এজন্য দক্ষ জনবল তৈরি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর