যারা বিলাসবহুল দামি গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের জন্য বিরক্তিকর সংবাদ। কারণ, বাজেটে ওই সব গাড়ির শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
তবে মধ্যবিত্তরা যে সব গাড়ি ব্যবহার করেন, অর্থাৎ ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত, সেসব গাড়ির শুল্ক অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গণপরিবহণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর ফলে ওই সব গাড়ির দামও বেড়ে যেতে পারে।
এবারের বাজেটে ২০০১ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত আমদানি করা গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
একই সঙ্গে ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
তবে ৪০০০ সিসির ওপরে গাড়ির শুল্ক আগের মতোই রাখার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া গণপরিবহণে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাড়তি শুল্কহার কার্যকর হলে এসব ব্রান্ডের গাড়ির দাম দেশীয় বাজারে বেড়ে যাবে।
এদিকে, গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা বলেছে, দেশে ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসির গাড়ির ব্যবহার প্রায় ৮০ শতাংশ, যা, সাধারণত মধ্যবিত্তরা কিনে থাকেন।
গাড়ি আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসির গাড়ি দেশে খুব কমই আমদানি হয়। ৩০০০ সিসির একটি গাড়ির দাম ১ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। আর ৪০০০ সিসির গাড়ির দাম ৪ কোটি টাকার ওপরে।
বারভিডার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ শরিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মধ্যবিত্তদের ব্যবহার করা গাড়ির দাম বাড়ার কথা নয়। তবে গণপরিবহণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে করে গণপরিবহণ খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’