বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়ক যোগাযোগে বরাদ্দ বাড়ল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ২১:২৯

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিরাপদ, টেকসই পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট আছে। এলক্ষ্যে আমরা সড়কপথ, সেতু, রেলপথ, নৌপথ এবং আকাশপথে সমন্বিত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

নতুন অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৯ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ৭২ হাজার ২৯ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার নিরাপদ, টেকসই পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলতে সদা সচেষ্ট আছে। এলক্ষ্যে আমরা সড়কপথ, সেতু, রেলপথ, নৌপথ এবং আকাশপথে সমন্বিত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশ পথের জন্য নেয়া সরকারের উদ্যোগগুলো সংসদের সামনে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা জোরদার, যানজট নিরসন এবং সাশ্রয়ী গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা শহরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ও ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) চালুর পরিকল্পনা মোতাবেক বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে।’

গত ১৩ বছরে সড়কপথের উন্নয়নে ৩৫৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ৪৪৮টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এই সময়ে ১৭৩ দশমিক ২০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ বা তার অধিক লেনে উন্নীত করা হয়েছে এবং ৯১৪ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ বা ততধিক লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।

বর্তমানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ২৬টি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

ঢাকার পাশাপাশি চট্রগ্রাম মহানগরীতেও মেট্রোরেল চালুর বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় আছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘পরীক্ষামূলক মেট্রোরেল চলাচল করেছে এবং ডিসেম্বর ২০২২ নাগাদ এ অংশ বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনের জন্য খুলে দেয়া হবে। পাশাপাশি এমআরটি লাইন ৫-এর সাউদার্ন ও নর্দার্ন রুট এবং এমআরটি লাইন-১ এর ডিটেইলড ডিজাইনের কাজ শেষের পথে রয়েছে।

‘আশা করছি, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজ আগামী অর্থবছরে শুরু করা সম্ভব হবে। এছাড়া, সরকার চট্টগ্রাম শহরেও এমআরটি ব্যবস্থা চালুর জন্য পরিকল্পনা করছে।’

রেলের উন্নয়নে ৫ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পরেলের উন্নয়নে ২৩০ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও বাজেট বক্তব্যে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আরামদায়ক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও স্বল্প খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার এ খাতের সমন্বিত ও সুষম উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।’

৩০ বছর মেয়াদী (২০১৬-২০৪৫) সংশোধিত মহাপরিকল্পনা অনুসারে ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার, মোংলা বন্দর, টুঙ্গীপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ও আঞ্চলিক রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপন এবং উন্নত কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে নিকটবর্তী শহরতলীর যোগাযোগ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ মহাপরিকল্পনার আওতায় ছয় ধাপে ৫ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর