প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক-কর ও ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। কর কমানোর প্রস্তাব কার্যকর হলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
স্বর্ণালংকার: দেশীয় জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে স্বর্ণের বার আমদানিতে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে স্বর্ণালংকার তৈরিতে আগের তুলনায় খরচ কমতে পারে।
হুইলচেয়ার: প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষায়িত হুইলচেয়ারের আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ হুইলচেয়ার আমদানিতে কোনো শুল্ক থাকবে না। ফলে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের ব্যবহৃত বিশেষায়িত হুইলচেয়ারের দাম কমবে।
মুড়ি ও চিনি: এখন খুচরা পর্যায়ে মুড়ি ও চিনি বিক্রিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে এই দুটি পণ্যের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজারে এই দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
কংক্রিট ব্লক ইট: পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এই পণ্যের খুচরা পর্যায় থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারে ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে বাজারে ওই পণ্যের দাম কমতে পারে।
হ্যান্ড টাওয়েল: স্থানীয় শিল্পের বিকাশে হাত মোছার টাওয়েলের বিক্রি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ওই পণ্যের দাম কমতে পারে।
দেশি প্রিন্টার ও ল্যাপটপ: দেশে উৎপাদিত আইটি পণ্য বিক্রির সময় বর্তমানে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। স্থানীয় শিল্পের বিকাশে এবারের বাজেটে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশে উৎপাদিত ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টারসহ সব ধরনের আইটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
কৃষি যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম: কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে দেশীয়ভাবে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ফলে দেশে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের উৎপাদনে শুল্ককর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এতে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের দাম কমতে পারে।
কাজু ও পেস্তাবাদাম: বিদেশ থেকে আমদানি করা কাজু ও পেস্তাবাদামের ওপর শুল্ককর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। ফলে দেশের বাজারে আমদানি করা কাজু ও পেস্তাবাদামের দাম কমতে পারে।
ব্রেইল মুদ্রণ ও কানে শোনার যন্ত্র: বাজেটে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্র ও এ যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারি আমদানিতে শুল্ককর ২৫ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আয়রন শিট স্টিলজাত পণ্য: প্রস্তাবিত বাজেটে গ্যালভানাইজড আয়রন ও স্টিলজাত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত এইচআর কয়েল এবং জিংকজাতীয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে করহার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে স্টিলজাত সব ধরনের পণ্যের দাম কমবে।
পলিথিন-প্লাস্টিক ব্যাগ: সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) এবং মোড়কীকরণ পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমএস প্রডাক্ট: রডের কাঁচামাল এমএস প্রডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্রতি মেট্রিক টন ট্যারিফ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করা হয়। এই কর প্রস্তাব কার্যকর হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রডের দাম কমবে।
পানির ফিল্টার: প্রস্তাবিত বাজেটে পানির ফিল্টারের ওপর শুল্ককর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে পানির ফিল্টারের দাম কমতে পারে। এ ছাড়া বিমানের জ্বালানির দামও কমবে।