করোনাভাইরাস মহামারি পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভ সংকট ও টাকার মান পতনে উদ্বিগ্ন সরকার।
এ পরিস্থিতিতে বিলাসী পণ্য আমদানি অনুৎসাহিত করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে ৮১টি মিশনে নির্দেশনামূলক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নিতে মিশনপ্রধানদের নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে ১৫ জুনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং মিশনের স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সরকারকে জানানোর সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় কর্মরত অনাবাসী বাংলাদেশিদের বৈদেশিক রেমিট্যান্স বৈধ পথে দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে মিশনসমূহ আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মিশনসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত অঞ্চলসমূহে বাংলাদেশের তফসিলি ব্যাংকসমূহের অফিসগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে প্রবাসীদের সঙ্গে উত্তম পেশাদার আচরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
চিঠিতে বলা হয়, দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অফিসগুলোতে দৈনিক রেমিট্যান্স পাঠানো সংক্রান্ত উপাত্ত সংগ্রহ করা এবং বাংলাদেশি গ্রাহকের তালিকা সংগ্রহ করে ফোনে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোয় উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। তা ছাড়া মিশনে সংরক্ষিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তালিকা ব্যবহার করেও এ বিষয়ে অনুরোধ করা যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে কিংবা মিশনের ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত বা মিশনপ্রধানের পক্ষ থেকে অনুরোধ সংবলিত ভিডিওবার্তা প্রচার করা যেতে পারে।