প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে কোনো কোম্পানির শেয়ারের জন্য আবেদন করতে হলে এখন থেকে সেকেন্ডারি মার্কেটে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। এতদিন সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকলেও একজন আইপিওতে শেয়ারের জন্য আবেদন করতে পারতেন।
বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কমিশন এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রবাসী কেউ আইপিওতে আবেদন করতে হলে তার বিনিয়োগ থাকতে হবে এর দ্বিগুণ। অর্থাৎ ১ লাখ টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকলেই কেবল প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।
আইপিও আবেদনে লটারি তুলে দিয়ে গত বছরের এপ্রিলে যখন সব আবেদনকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টনের নীতিমালা চালু হয়, তখন সেকেন্ডারি মার্কেটে ন্যূনতম বিনিয়োগের শর্ত বেঁধে দেয়া হয়।
বিএসইসি বলছে, পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনে সুযোগ করে দিতে এই বিনিয়োগ সীমা বাড়ানো হয়েছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, বিএসইসির এই সিদ্ধান্তে বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে, ক্যাশ ফ্লো থাকবে।
তবে এই বিনিয়োগটা যেন দীর্ঘমেয়াদে থাকে সেটা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আইপিও আবেদনের জন্য কেউ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করল, আবার আইপিও পাওয়ার পরে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিয়ে গেল, এমনটা যেন না হয়।’
বিএসইসর নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পরবর্তী আইপিও আবেদন থেকেই এটা কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা কার্যকর হলে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে। অনিয়মিত বিও সংখ্যা কমে যাবে। অতীতে অনেকেই আইপিও পাওয়ার জন্য অনেক ভুয়া বিও খুলতে সেগুলোর পরিমাণ কমবে। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ও আইপিও পেতে সুবিধা হবে।’
তবে ব্রোকারেজ হাউজ এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত নন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মানুষ শুধু শুধু ৫০ হাজার টাকা ফেলে রাখবে কেন? এমন তো না যে শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। শেয়ার তো পাবে ২০টা। তাহলে ২০০ টাকার শেয়ারের জন্য কে ৫০ হাজার টাকা ফেলে রাখবে?’