ব্যাংকে গ্রাহক লেনদেন করার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে সে তথ্য জানানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে এই সেবার বিনিময়ে কোনো অর্থ নেয়া যাবে না- সেটিও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জালিয়াতি রোধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, প্রত্যেক গ্রাহককে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ হিসাবের স্থিতি নিশ্চিতকরণ সনদ বিনা মূল্যে দিতে হবে। ই-মেইল, ডাক বা কুরিয়ারযোগে এগুলো পাঠাতে হবে। পাশাপাশি মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে গ্রাহকদের এ তথ্য জানাবে ব্যাংকগুলো। এ জন্যও কোনো মাশুল নিতে পারবে না।
দুবারের বেশি এসব বিবরণী সংগ্রহ করলে ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ফি দিতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, তথ্য পাঠানোর বিষয়টি গ্রাহকের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে জানাতে হবে। কোনোভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব তথ্য পাঠানো যাবে না। গ্রাহকের মোবাইল নাম্বার ও মেইলিং ঠিকানা বছরে একবার হালনাগাদ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এসব বিষয়ে আগেই নির্দেশনা দেয়া হলেও তা যথাযথভাবে পালন করছে না- এমন অভিযোগ আসছে। অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রমাণও পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে আগের দেয়া এসব নির্দেশনা আবার নতুন করে দেয়া হলো বলে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এতে আরও বলা হয়, হিসাব সম্পর্কিত প্রতিটি লেনদেনের তথ্য ব্যাংকের নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও গ্রাহককে জানানো যাবে। তবে কোনো সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে সে তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে না।
হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের সত্যতা যাচাই করতে হবে।