বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনাপোল বন্দরে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ১৯:৪২

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি লাগাতার চালিয়ে যাব। বন্দর ব্যবহারকারী সব সংগঠনই আমাদের সঙ্গে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৩ দফা দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।’

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারের প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে বুধবার থেকে বন্দরে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারী ৭টি সংগঠন তাতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।

ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার দুপুরে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।

এ সময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জি এম আজিম উদ্দীন গাজী, সভাপতি আতিকুজ্জামান সনিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দাবি তিনটি হলো বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীকে প্রত্যাহার করা; বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন, ফর্কলিফট সরবরাহসহ দক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া এবং পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি করতে বন্দর এলাকা যানজটমুক্ত রাখা।

ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম বলেন, ‘বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। যে বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট না থাকায় পণ্য লোড-আনলোডের কাজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত ১৬ মে এর মধ্যে বন্দরে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ব্যবস্থা না করায় ১৭ মে থেকে বন্দরে পণ্য পরিবহন করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

‘এর পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদারের সভাপতিত্বে ক্রেন ও ফর্কলিফটের সমস্যা নিরসনে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গত ৩১ মের মধ্যে বন্দরে তিনটি নতুন ক্রেন ও তিনটি নতুন ফর্কলিফটের সরবরাহসহ দক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু বন্দরে প্রত্যাশিত কোনো ক্রেন বা ফর্কলিফট সরবারহ করা হয়নি। তারপরও দফায় দফায় বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি।’

এসবের কোনো সুরাহা না হওয়ায় বুধবার থেকে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বন্দরে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামুন কবীর বন্দরের টেন্ডারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব লোক নিয়োগ দিচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি বেনাপোল বন্দরটাকে ধ্বংসের জন্য পাঁয়তারা করছেন। তাকে এ বন্দর থেকে প্রত্যাহার করলে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হওয়াসহ রাজস্ব আদায় আরও বেশি বাড়বে।’

এ বন্দর কর্মকর্তার কারণে বন্দর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মন্তব্য করে সংগঠনের এ নেতা আরও বলেন, ‘এমন কোনো দুর্নীতি নেই যে মামুন তরফদার জড়িত নেই। সব কাজে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

‘তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি লাগাতার চালিয়ে যাব। বন্দর ব্যবহারকারী সব সংগঠনই আমাদের সঙ্গে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৩ দফা দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে,’ বলেন আজিম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে বেনাপোল বন্দরে মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরসহ দেশের ১১টি শুল্ক স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর