ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। এক দিনে এর আগে কখনও এত বেশি মান হারায়নি দেশের মুদ্রা।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।
গত বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৯০ পয়সা কমিয়ে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এক দিনে এটিই ছিল টাকার সবচেয়ে বেশি দরপতন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে যে দরে ডলার বিক্রি করে সেটাই আন্তঃব্যাংক বিক্রির রেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সোমবার ডলার দর ছিল ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।’
চলতি বছরে জানুয়ারির শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৩ মার্চ ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা দর নির্ধারণ করা হয়। ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় আরও ২৫ পয়সা। তখন ১ ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ১৬ মে বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় অবমূল্যায়ন করা হয় টাকার। সেদিন টাকার মান ৮০ পয়সা কমিয়ে ডলারের বিপরীতে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর ২৩ মে টাকার মান আরও ৪০ পয়সা কমিয়ে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।
অবশ্য খোলাবাজারে ডলার কিনতে গেলে এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। টাকার মান আরও কমবে- এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়ার পর ১০৪ টাকাতেও ডলার কেনার ঘটনা প্রকাশ পায়। অনেকেই অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ডলার কিনতে শুরু করেন।
তবে বিদেশ যাত্রায় সরকার লাগাম পরানোর পর খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা কিছুটা কমে আস। দামও কমে ৯০ এর ঘরে চলে এসেছে।
মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কিনতে সোমবার ৯৮ দশমিক ২০ টাকা গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এর আগে ১৭ মে খোলা বাড়ারে ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠেছিল।
দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রিও করেছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৫৫০ কোটি ডলার বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।