ই-কমার্স খাত দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে। তবে, এ খাতের বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা দূর করতে জরুরি ভিত্তিতে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেল দারাজ আয়োজিত ‘তারুণ্যের বাজেট’ শীর্ষক এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ই-কমার্সের পাশপাশি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করতে সরকার কাজ করছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দেশের প্রতিটি জনগণের কথা মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।’
এ সময় তিনি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছর বাজেটের জন্য সম্ভাব্য সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে ই-কমার্স খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২8 সাল নাগাদ এই খাতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
‘বর্তমানে ই-কমার্স বাণিজ্যের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল খাতের অগ্রগতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ই-কমার্স খাতের ভ্যাট ও ট্যাক্স কাঠামো সংশোধনের ক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসের জন্য একটি সংজ্ঞা সংযোজন করা প্রয়োজন, যা বর্তমানে শুধুমাত্র রিটেইল ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং যেখানে ই-কমার্স ব্যবসার মার্কেটপ্লেসের মোডালিটি অন্তর্ভুক্ত নয়।’
তিনি মার্কেটপ্লেসের সংজ্ঞা সুস্পষ্ট করতে ও ভ্যাট আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি করতে সরকারকে অনুরোধ করেন।
বলেন, ‘ভ্যাট চালান সংরক্ষণের জন্য এর পদ্ধতিটি ডিজিটালাইজড করতেও আমরা এনবিআরকে সুপারিশ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে এই ‘ইনফ্যান্ট ইন্ডাস্ট্রি’ থেকে রাজস্ব বোর্ড টার্নওভার ট্যাক্স পায় দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ সামান্য পরিমাণ প্রত্যক্ষ কর থেকে যদি অব্যাহতি দেয়া হয়, তাহলে এটি ভবিষ্যতে ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিতে এবং রাজস্বখাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি ও একে খান টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম খান, চালডাল ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও জিয়া আশরাফসহ অন্যরা।